অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে প্রাচীনকালে বাবরি মসজিদের অস্তিত্ব ছিল না। সোমবার এই দাবি জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহন্ত নৃত্য গোপাল দাস। তাঁর মতে, অযোধ্যার ওই জমিতে বরাবরই রাম মন্দিরই ছিল।
প্রায় ২৮ বছর পরে আবার রাম জন্মভূমি দর্শনে এসে মোহন্ত জানিয়েছেন, নতুন রামলালা মন্দির নির্মাণের জন্য মাটি খুঁড়ে যে সমস্ত প্রাচীন সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে, তাতে বাবরি মসজিদের কোনও ঐতিহাসিক অস্তিত্বের প্রমাণ মেলেনি।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদে বসার আগে রাম মন্দির আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা রাম জন্মভূমি ন্যাস সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোহন্ত দাস। বর্তমানে তিনি অযোধ্যার মণিরাম দাস ছাউনি পীঠে বাস করেন।
সোমবার তিনি জানিয়েছেন, ‘রাম জন্মভূমিতে এখন নতুন মন্দির নির্মাণের জন্য জমি সমান করার কাজ চলেছে। এই প্রক্রিয়ায় মাটির গভীর থেকে বহু পুরাকীর্তি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, যা প্রাচীন রাম মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণের সহায়ক। এর থেকেই বোঝা যায় যে, অযোধ্যায় বরাবরই রাম মন্দির ছিল এবং এখানে পুরাকালে কোনও বাবরি মসজিদ ছিল না।’
মোহন্ত আরও জানিয়েছেন যে, মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থের কোনও অভাব হবে না। করোনা সংক্রমণের জেরে আরোপিত লকডাউন উঠে গেলেই এই জমিতে এসে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন ভক্তরা।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১১ মে থেকে অযোধ্যার এই জমিতে নতুন রামলালা মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাইয়ের দাবি, ইতিমধ্যে মাটি খুঁড়ে পাঁচ ফিট দীর্ঘ শিবলিঙ্গ, প্রাচীন রাম মন্দিরের সাতটি কালো পাথরের ও ৬টি লাল পাথরের থাম উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে বিস্তর হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি।
নতুন মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার আগে রাম মন্দিরের আরাধ্য দেবতা রামলালার মূর্তি গর্ভগৃহ থেকে অস্থায়ী মন্দিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মন্দির নির্মাণের দায়িত্ব বর্তেছে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো সংস্থার উপরে। তাঁরা সয়েল টেস্ট ইত্যাদি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। এই কাজ বিনামূল্যে করছে লার্সেন অ্যান্ড টুব্রো, জানিয়েছেন ট্রাস্টের এক সদস্য।