বাংলা ও কেরালার পথেই পা বাড়াল মধ্যপ্রদেশ। মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ জানিয়ে দিলেন, তাঁর রাজ্যে এই মুহূর্তে এনপিআর চালু করা হবে না।
সোমবার কমল নাথ জানান, ‘২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর এনপিআর সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়। এই নোটিশ জারি করার পরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করে কেন্দ্রীয় সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কারণে যে এনপিআর সম্পর্কে নোটিশ জারি করা হয়েছে, তা ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের অধীনে ছিল না। তা ছিল ১৯৫৫ সালের পাশ করা আইনের তিন নম্বর ধারার অধীনে।’
মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যাই হোক, মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, মধ্যপ্রদেশে আপাতত এনপিআর কার্যকর হবে না।’
আরও পড়ুন: NPR-এ বাবা-মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান কেন, বৈঠকে আপত্তি বিরোধীদের
অন্য দিকে, এনপিআর ফর্ম নিজে পরীক্ষা করে দেখার পরেই তা রাজ্যবাসীকে ভরতি করার পরামর্শ দেবেন বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। যদিও তিনি এ-ও বলেন যে, সিএএ নিয়ে সমস্যা থাকার কথা নয় কারণ তার সঙ্গে এনআরসি-এর কোনও যোগাযোগ নেই। তাঁর দাবি, সিএএ ও এনআরসি দু’টি পৃথক বিষয়। তবে তাঁর রাজ্যে এনআরসি যে কার্যকর করা হবে না, তা সাফ জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি সিন্ধুদুর্গে সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব জানিয়েছেন, ‘এনআরসি কার্যকর করা হলে তা শুধু হিন্দু ও মুসলিমদের জন্যই সমস্যা তৈরি করবে না, তার সঙ্গে আদিবাসীদেরও মুশকিলে ফেলবে। এনআরসি নিয়ে কেন্দ্র এখনও আলোচনায় বসেনি। এনপিআর মূলত জনগণনা প্রক্রিয়া, প্রতি ১০ বছর অন্তরই তা হয় এবং তাতে লোকের সমস্যা হবে বলে আমার মনে হয় না।’
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত এনপিআর প্রক্রিয়া ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনগণনা প্রক্রিয়ার সঙ্গে চালু হওয়ার কথা। যদিও অবৈধ অনুপ্রেবসকারী চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া এনআরসি-এর সঙ্গে তার যোগ রয়েছে অভিযোগে ইতিমধ্যে এনপিআর-এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।