পুরীর রথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ৫,০০০ ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করাবে ওড়িশা প্রশাসন। বুধবার এই ঘোষণা করেছে নবীন পট্টনায়েকের সরকার। এর মধ্যে রয়েছেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা, পুর কর্মী ও পুলিশ কর্মীরা।
পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের সেবায়েত ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
রথ যাত্রার আগে সোমবার রাতে মন্দিরের ২,০০০ সেবাতের নমুনা পরীক্ষা করা হলে একজনের কোভিড পজিটিভ ধরা পড়ে, জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্য সচিব এ কে ত্রিপাঠি। তিনি জানিয়েছেন, ওই সেবায়েত ও তাঁর পরিবারের সদস্য মিলে মোট ১৬ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহের পরে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।
জগন্নাথ মন্দির ম্যানেজিং কমিটির ডেপুটি চেয়ারপার্সন এস সি মহাপাত্র জানিয়েছেন, ২,৫০০ সেবায়েতের দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে সমস্ত নমুনা পরীক্ষার ফল জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যে সমস্ত সেবায়েত নেগেটিভ প্রমাণিত হবেন, শুধুমাত্র তাঁদেরই আগামী ১ জুলাই বহুদা যাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মন্দির প্রশাসনের প্রধান প্রশাসক কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন, সেবায়েতদের ৫,০০০টি ফেস মাস্ক সরবরাহ করা হবে। তাঁদের পরিবারকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারও দেওয়া হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, মে মাস পর্যন্ত গ্রিন জোন চিহ্নিত থাকার পরে সম্প্রতি পুরী জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। মৃত-সহ আহাতত জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২৪ জন। জেলায় ৭১টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে।
অন্য দিকে, গত মঙ্গলবার রথ যাত্রার দিন রথ থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পাওয়া সেবায়েত বাউরিবন্ধু দাসমহাপাত্রকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁকে আইসিইউ বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য উন্নয়ন পর্ষদের ডেপুটি চেয়ারপার্সন সঞ্জয় দাসবর্মা।