শেষ ২ মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি রয়েছে ওড়িশায়। বাংলার প্রতিবেশী এই রাজ্যে শেষ একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪ জন। এদিকে এর আগে, প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের পঠনপাঠন স্কুল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এবার ওমিক্রন ত্রাসের মাঝে স্কুল খোলা নিয়ে পিছু হটল পট্টনায়ক সরকার। এর আগে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলা হবে , এমনটা ঠিক থাকলেও, রবিবার ওড়িশা সরকার সাফ জানিয়েছে যে আপাতত প্রাথমিক স্কুল খোলা হবে না ওড়িশায়।
এর আগে, ওড়িশা সরকার ঠিক করেছিল যে, ৩ রা জানুয়ারি খোলা হবে প্রাথমিক স্কুলগুলি। রাজ্যের ২ হাজার প্রাথমিক স্কুল প্রথমস্তরে , তারপর আরও ৩০৩৯ টি স্কুল খোলার পথে হাঁটার রাস্তায় এগিয়েছিল ওড়িশার পট্টনায়ক সরকার। প্রাথমিক বাদ দিয়ে বাকি স্কুল খোলার কথা ছিল ১০ জানুয়ারি। ওড়িশার স্কুল শিক্ষামন্ত্রী সমীর রঞ্জন দাস বলেছেন, 'স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের পর , আমাদের নোডাল অফিসাররা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্কুলের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। বহু অভিভাবকরা কোভিড পরিস্থিতিতে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই করোনা পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্কুলগুলিকে এখন খোলা হবে না।' উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং প্রয়োজন। আর তার জন্য ক্লারুমগুলিতে যে জায়গার দরকার, বহু স্কুলেই তা নেই বলে সরকারকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অফিসাররা। বিশেষত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের একে অপরের কাছাকাছি বসাতে বাধ্য হতে হত শিক্ষকদের। এমন পরিস্থিতির জেরে ওড়িশা সরকার স্কুলগুলিকে আপাতত খুলছে না বলে জানিয়েছে।
ওড়িশার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বহু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ওড়িশায় আপাতত দশম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য খোলা রয়েছে স্কুলের দরজা। নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাসরুমের মধ্যে পড়াশোনা শুরু হয়েছে ১৬ অগাস্ট। এদিকে গত বছরের অক্টোবরে অষ্টম শ্রেণি থেকে একাদশ ও ষষ্ঠ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসরুমে পড়াশোনা শুরু হয়। তবে জানা গিয়েছে, ৫ এবং ৮ জানুয়ারী এর মধ্যে নির্ধারিত সময়সূচী অনুসারে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ডের পরীক্ষা আয়জন করা হবে ওড়িশায়।