পুঁঞ্চের ভারত-পাক সীমান্তে ইদের মিষ্টি বিতরণ ও কুশল বিনিময় সেরেছিল পাকিস্তান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত সীমান্তে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সাম্বা জেলার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তে একটি ড্রোনের সাহায্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফেলেছে পাকিস্তান। এমনই অভিযোগ করল ভারতীয় সেনা।
জম্মু সীমান্তের বিএসএফের ডিআইজি এসপিএস সন্ধু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ শুক্রবার ভোরে সাম্বা সেক্টরের আন্তর্জাতিক সীমান্তের রিগ্যাল পোস্টের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বিএসএফ জওয়ানেরা। তাঁদের তৎপরতায় এক পাকিস্তানির ফেলে যাওয়া বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জঙ্গীদের সাহায্যকারী লিঙ্কম্যানরা এই অস্ত্রগুলো পলিথিনের প্যাকেটের মধ্যে জড়িয়ে রেখেছিল। ভারতের সীমানার ২৫০ মিটার ভিতরে এই অস্ত্রগুলো চোরাচালান করা হয়েছে।’
সন্ধু বলেন, ‘ ওই প্যাকেটের মধ্যে থেকে ১টি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ৯ এমএস ম্যাগাজিন ছাড়াও ১৫টি পিস্তলের খোল ও ড্রোনে ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কাঠের ফ্রেম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মাল্টি-টাই গ্রিডে’ মোতায়েন করা বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার জেরে আবারও পাকিস্তানের ছক ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’
সন্ধু বলেন, ‘ আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে তৎক্ষণাৎ পাক বাহিনীকে নোট জমা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সব সময়ই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।’
জম্মু বিএসএফের আইজি এনএস জামওয়াল সেনাবাহিনীর এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, বিএসএফ পাকিস্তানের অসৎ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করেছে। প্রসঙ্গত, এটা সেই অঞ্চল যেখানে গত বছর ২২ নভেম্বর পাকিস্তানের তৈরি করা সুড়ঙ্গ সনাক্ত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, চলতি বছরের ৫ মে এক পাকিস্তানী অনুপ্রবেশকারীকে হত্যাও করা হয়।’
গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে দু’টি পাক ড্রোন জম্মু জেলার আরনিয়া সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। বিএসএফের জওয়ানরা গুলি করলে, ফের সেগুলো পাকিস্তানে ফিরে যায়। তিনমাসের বিরতির পর চলতি মাসের ৩ মে, পাকিস্তান ফের জম্মুর সাম্বা জেলার রামগড় সেক্টরের ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিএসএফের টহলদারি ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে।