২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের এক শতাংশ শীর্ষ ধনী পুরো পৃথিবীর ১৬% কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী হবেন৷ শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও স্টকহোম এনভায়রনমেন্ট ইনস্টিটিউট এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রাক-শিল্পযুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে এমন নিঃসরণের ধারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের কার্বন নিঃসরণের এমন ধারা অব্যাহত থাকা মানে হল, প্রাকশিল্পযুগ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে বাকি বিশ্বকে অনেকটাই কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে৷ আর কোনও বিকল্প নেই৷' জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬-এ প্রতিবেদনটি উত্থাপন করা হয়৷
অক্সফামের প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শীর্ষ এক শতাংশ ধনী যে পরিমাণ কার্বন ব্যবহার করছেন, তা গরিব বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যার ব্যবহারের দ্বিগুণ৷ তারা বলছে, ২০৩০ সালে তাদের এই কার্বন ব্যবহারের মাত্রা ১৯৯০ সালের মাত্রার চেয়ে ২৫ ভাগ বাড়বে৷ এই মাত্রা প্যারিস চুক্তিতে অনুমিত মাথাপিছু মাত্রার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি৷
ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান অক্সফামের ক্লাইমেট পলিসি প্রধান নাফকোটে ডাবি বলেন, ‘একটা ছোটো এলিট শ্রেণি দূষণের ফ্রি পাস নিয়ে ঘুরছে৷' প্রতিবেদনটি আরো বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণের এই ‘এলিট' শ্রেণির সদস্যের সংখ্যায় চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে৷
(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)