রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রার্থী করেছে যশবন্ত সিনহাকে। প্রাথমিক ভাবে যশবন্তের জয়ের আশা থাকলেও বিজেপির ছকে সেই আশা ক্ষীণ হচ্ছে ক্রমেই। এই আবহে এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সমর্থন চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে ফোন করলেন যশবন্ত সিনহা। লালকৃষ্ণ আডবাণীকেও নাকি ফোন করেন যশবন্ত। ৮৪ বছর বয়সি যশবন্ত এককালে আডবাণীর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তবে পরবর্তীকালে মোদীর সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে বিজেপি ছেড়েছিলেন তিনি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এরপর যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল।
এদিকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনকেও ফোন করেন যশবন্ত। উল্লেথ্য, বিরোধীদের প্রার্থী ঘোষণার সময় হেমন্ত সোরেন আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন করবেন। তবে বিজেপি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করার পর সমীকরণ বদলে যায়। প্রসঙ্গত, দ্রৌপদী মুর্মু সাওঁতাল জাতির। এই আবহে ঝআড়খণ্ডের শাসকদল আদিবাসী প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে বলে কানাঘুষো শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশার শাসকদল বিজু জনতা দল মুর্মুকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে। অন্ধ্রের শাসকদল ওয়াইেসআর কংগ্রেসও মুর্মুকে ভোট দেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। এই আবহে জেএমএম যদি দ্রৌপদীকেই ভোট দেয় তাহলে যশবন্তের জয়ের আশা প্রায় নেই বললেই চলে। যদিও এখনও আশা ছাড়ছেন না তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি।
আগামী ২৭ জুন, সোমবার বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে যশবন্ত সিনহার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। যশবন্ত সিনহা শুক্রবার তাঁর নিজ রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে নির্বাচনের প্রচার শুরু করবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। তবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ‘মন বদলে’ তিনি প্রচার শুরু করেননি। এদিকে যশবন্ত সিনহা মোদী, রাজনাথকে ফোন করার আগে দ্রৌপজী মুর্মু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছিলেন।