পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বিপুল পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। কিন্তু এই পরিবর্তনের ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়তে চলেছে প্রতিবেশী দেশেও। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যেই পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল চলাচল শুরু হতে পারে। এই রেলপথ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করবে। যার ফলে কলকাতা থেকে ঢাকা যাতায়াত অনেক কম সময়েই হয়ে যাবে।
২০২৪ সালের মধ্যেই ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সমাপ্ত হচ্ছে। এই পথেই ভারত-বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এখন মোট ৫টি পয়েন্ট দিয়ে রেল চলাচল করছে। এর মধ্যে মৈত্রি এক্সপ্রেসে করে কলকাতা থেকে ঢাকা যাতায়াত করতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টার বেশি। পদ্মা সেতুতে রেল যোগাযোগ চালু হলে সেই সময় অর্ধেকেরও কম হয়ে যাবে। (আরও পড়ুন: হেঁটে পার হওয়া যাবে কি পদ্মা সেতু? যাবে কি সেলফি তোলা? নিয়ম কী কী)
বাংলাদেশ রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে দুই দেশের মধ্যে বিরতিহীন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,এখন ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে প্রায় দশ ঘণ্টা। কিন্তু আগামী দিনে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া যাবে কলকাতা। (আরও পড়ুন: 'জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার', পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে সুকান্ত ভট্টাচার্যকে স্মরণ হাসিনার)
ভারতীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা টার্মিনাল স্টেশনের দূরত্ব ৫৩৩ কিলোমিটার। নদিয়া সীমান্ত হয়ে ঢাকা যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা।আর ঢাকা-যশোর হয়ে দু’দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হলে-কলকাতা টার্মিনাল স্টেশন থেকে পেট্রাপোল,যশোর হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা পৌঁছবে মাত্র ৩ ঘণ্টায়।
দুই দেশের উচ্চ পদাধিকারিদের কথা শুনে খুবই খুশি দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের এক বিশিষ্ট পদাধিকারি বলেছেন, এই সেতু চালু হলে আমদানি ও রফতানি দুই বাড়বে। বেনাপোল হয়ে যে সমস্ত ট্রাক যায় সেগুলো অনেক কম সময়ে ঢাকা ও অন্য এলাকায় যেতে পারবে। এখন দিনে প্রায় চারশ গাড়ি চলাচল করে। এই সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে । কারণ নদীর তীরে গিয়ে ফেরির অপেক্ষায় থাকতে হবে না। তিনি জানিয়েছেন যে এই সেতু চালু হলে বাংলাদেশের মানুষ যেমন সুবিধা পাবেন তেমনই লাভ হবে ভারতেরও।