এবার খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কার্যত স্বীকার করে নিলেন যে সীমান্তে পাকিস্তান থেকে মাদকের চোরাচালান হচ্ছে। পাকিস্তান থেকে ভারতে মাদক পাচার করতে পাচারকারীরা ড্রোনের সাহায্য নিচ্ছে, বলে সদ্য স্বীকার করেছেন মালিক মহম্মদ আহমেদ খান। পরিচিতির দিক থেকে আহমেদ খান, বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিশেষ সহায়ককারী।
পাকিস্তানের নামী সংবাদপত্র ‘জিও নিউজ’এর সাংবাদিক হামিদ মীরের কাছে মালিক মহম্মদ আহমেদ খান নিজে একথা জানিয়েছেন। মালিক মহম্মদ আহমেদ খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতকারের গোটা ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেছেন হামিদ মীর। আর সেখানেই মালিক মহম্মদ আহমেদ খানকে দেখা যায়, পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ড্রোন মারফৎ মাদক পাচার নিয়ে কথা বলতে। কাসুর সিটির রাজনৈতিক প্রতিনিধি হলেন মালিক মহম্মদ আহমেদ খান। এই কাসুর সিটি হল পাকিস্তানের এমন এক এলাকা যার খুব কাছেই ভারতের পাঞ্জাব সীমান্ত। এদিকে, তাঁর সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ক্লিপ টুইটারে পোস্ট করে হামিদ মীর লেখেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মালিক মহম্মদ আহমেদ খান করলেন বড়সড় তথ্য ফাঁস। হেরোইন পাচারের জন্য পাকিস্তান-ভারত সীমান্তের কাছে কাসুরের বন্যাকবলিত এলাকায় ড্রোন ব্যবহার করে চোরাকারবারীরা। তিনি বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ প্যাকেজের দাবি জানান, অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্তরা চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগ দেবে বলেও জানান।’ প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছে প্রবল বন্যা। আর তার জেরেই সেখানে ত্রাণের দাবিতে সরব হয়েছেন মালিক মহম্মদ আহমেদ খান। যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানে আহমেদ খানকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এটি (এলওসির কাছে কাসুর) একটি রেঞ্জার্স এলাকা। সীমান্তের কিছু নিয়মের কারণে কিছুটা সংবেদনশীলতা রয়েছে।’ তাঁকে হামিদ যখন প্রশ্ন করেন যে, এলাকা থেকে মাদক পাচার কি হয়? তাতে সম্মতি জানিয়ে আহমেদ খান বলেন, কিছুদিন আগেই ১০ কেজির হেরোইন বেঁধে তা ড্রোনের মারফৎ পাচারের চেষ্টা হয়। এই নিয়ে পাচারকারীদের কাছে কোনও গুপ্ত তথ্যও আসতে থাকে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, যেখানে পাকিস্তানের মদতে সেদেশ থেকে সীমান্তে ড্রোন দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে, তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের থেকে এই তথ্যের নিশ্চিত হওয়ার মতো ঘটনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে ভারতের যৌথ বাহিনী বারবার গুলি করে এমন সীমান্ত পারের ড্রোন ধ্বংস করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের তরফে বহুবারই জানানো হয়েছে যে ড্রোন মারফৎ পাকিস্তান থেকে মাদক ও অস্ত্র ভারতের সীমান্তের ভিতর আনা হচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের এই তাবড় ব্যক্তিত্বের বক্তব্য বেশ প্রাসঙ্গিক।