পাকিস্তান আশ্রিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের এক সদস্য সদ্য এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে। সেই জঙ্গির স্ত্রী রাজিয়া বিবি এবার মুখ খুলে কার্যত পাকিস্তানের জঙ্গি শিবিরগুলির গোপন স্ট্র্যাটেজি ফাঁস করে দিলেন। জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা রাজিয়া বিবি বলেন, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি 'ইসলামের নাম ভুলভাবে ব্যবহার করে কাশ্মীরিদের জীবন শেষ করে দিচ্ছে।'
রাজিয়া বিবির জন্ম জম্মু ও কাশ্মীরের বন্দিপোরাতে হয়েছিল। খুব কম বয়সেই তাঁকে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রাজিয়া। এরপর পাকিস্তানের বুকে রাজিয়ার সঙ্গে এক হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গির বিয়ে হয় বলে জানান এই কাশ্মীরি মেয়ে। রাজিয়া বলছেন, বিয়ের কয়েকদিন পর ২০১৮ সালে তাঁর স্বামী কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য এনকাউন্টারে নিহত হয়। এরপর বহু কাঠখড় পুড়িয়ে পাকিস্তানের বুক থেকে রাজিয়া ভারতে ফেরেন। কয়েকদিন আগেই তিনি সন্তানের সঙ্গে কাশ্মীরে আসেন। রাজিয়া বলছেন, ভারতে ফেরার সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিজের বক্তব্যে রাজিয়া বারবার জানান দিয়েছেন যে, কীভাবে ধর্মের নামে কাশ্মীরের সমস্ত যুবকদের পথভ্রষ্ট করে যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি কীভাবে ফাঁদ পেতে বহু তরুণের জীবন ধ্বংস করে যাচ্ছে তা নিয়েও সরব হন রাজিয়া। কাশ্মীরের এই সাহসী মেয়ে এদিন সোচ্চার কণ্ঠে পাকিস্তানের জঙ্গি শিবির হিজবুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ার পর , এক বছর পর্যন্ত জঙ্গি সংগঠন হিজবুল তাঁকে টাকা পাঠিয়েছিল। এরপর আর টাকা পাননি রাজিয়া। রাজিয়া বলছেন, 'আমার স্বামীর মৃত্যুর পর ওরা (হিসবুল মুজাহিদ্দিন) একবছর পর্যন্ত টাকা পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারপর টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়। আমার পক্ষে সংসার চালানো মুশকিল হচ্ছিল।' পাকিস্তান সম্পর্কে রাজিয়া বিবির বক্তব্য 'ওঁরা ওখানে নিজেদের খেয়াল রাখে না, তাহলে এখান (পাকিস্তান) থেকে কেউ ওখানে গেলে তাঁদের কী খেয়াল রাখবে!' রাজিয়া বলছেন, পাকিস্তান থেকে আসার পর ভারত তাঁর সঙ্গে খুবই ভালো ব্যবহার করেছে। তাঁর সন্তানরা স্কুলে পড়ছে। ফলে ভারতে আসার সিদ্ধান্ত তাঁর কাছে ভালো সিদ্ধান্ত হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।