জম্মু পুলিশ ও স্পোশ্যাল অপারেশন গ্রুপের তৎপরতায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি শিবিরের বড়সড় হামলার ছক বানচাল হয়েছে বলে খবর। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও সন্ত্রাসবাদী শিবিরগুলির মদতে এই হামলা চানালোর ষড়যন্ত্র চলছিল বলে খবর। উল্লেখ্য, বুধবার মধ্যরাতে জম্মুর আরনিয়া সেক্টরে পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে উড়ে আসে একটি ড্রোন। তাকে দেখেই নিশানা তাক করে পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনী। এরপরই জানা গিয়েছে ওই ড্রোন বহুল পরিমাণ অস্ত্রসস্ত্র সরবরাহ করছিল পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরের বুকে।
রাত ১২.৪৫ মিনিট নাগাদ ড্রোন উড়ে পাকিস্তানের দিকে চলে যেতেই এলাকা জুড়ে তল্লাশি শুরু করে, জম্মু পুলিশ ও স্পোশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। দেখা যায়, বহু সংখ্যায় অস্ত্রসস্ত্র এলাকায় ফেলে গিয়েছে সেনা বাহিনী। এডিজিপি মুকেশ সিং জানিয়েছেন, 'লস্কর ই তৈবা ও রেজিজটেন্স ফ্রন্টের ড্রোন কর্মকাণ্ডের খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আরনিয়ায় এই ড্রোন কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই রয়েছে।' পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া এলাকা জম্মুর আরনিয়া সেক্টরের ত্রেভা গ্রাম। সেখানে ড্রোন মারফৎ একটি বাক্স বোঝাই কর্ডেক্স তার, আইইডি, তিন বোতল বিস্ফোরক, একটি পিস্তল, দপটি ম্যাগাজিন, ছয়টি গ্রেনেড, ৭০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতের ১০০ থেকে ১৫০ মিটারের মধ্যে ঢুকে পড়ে ও পাকিস্তানি ড্রোন। রাতের অন্ধকারে ড্রোন জেখতেই হামলা চালায় বিএসএফ। কিন্তু তাতেও নামানো যায়নি ড্রোনটিকে। জানা যায়, তা ফের পাকিস্তান সীমান্তের দিকে উড়ে যায়।
জম্মু পুলিশ সূত্রের খবর, লস্কর ই তৈবা ও রেজিজটেন্স ফ্রন্ট ভূস্বর্গের বুকে এভাবে অস্ত্র পাঠিয়ে নাশকতার ছক কষে চলেছে। এদকে, জম্মুতে এমন বহুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার ঘিরে জম্মু পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্তে এগোচ্ছো জম্মু পুলিশ। দায়ের হয়েছে এফআইআর।