বেজিংয়ে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভের ভীতি ক্রমশ ঝাঁকিয়ে বসছে। রবিবার চিনের রাজধানীতে আরও ৩৬ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ফলে গত ১১ জুন থেকে সেখানে নয়া সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯।
সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, দেশের মূল ভূখণ্ডে রবিবার ৪৯ জন নয়া আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ১০ জনের বিদেশি যোগসূত্র আছে। বাকি ৩৯ জনের সংক্রমণের যোগ লুকিয়ে রয়েছে দেশের মধ্যেই। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন বেজিংয়ের এবং বাকি তিজন বেজিংয়ের সীমান্তবর্তী হেবেই প্রদেশের বাসিন্দা। ফলে স্বভাবতই বেজিং করোনার নয়া কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে কিনা, তা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে।
বিশেষত অধিকাংশ আক্রান্তের শিনফাদি বাজার যোগসূত্র রয়েছে। সংক্রমিতরা ফেংতাই জেলার ওই বাজারে গিয়েছিলেন বা তাঁরা বেজিংয়ের সেই বৃহত্তম বাজারের দোকানি। তার জেরে সরকারের কোপে পড়েছেন জেলার সহ-প্রধান ঝাউ ইউকিং। করোনা রুখতে ‘ব্যর্থ’ হওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ফেংতাইয়ের প্রধান ঝ্যাং জি জানান, জেলা এখন ‘যুদ্ধকালীন ব্যবস্থাপনায়’ আছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। শিনফাদি বাজারের কাছাকাছি বসবাসকারী ৪৬,০০০ মানুষের নমুনা পরীক্ষার চেষ্টা করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আনাজপাতি, মাংস এবং সামুদ্রিক খাবারের বাজার। ১১টি আবাসন তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় তিনটি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেনও।