১২ জন বিরোধী সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে রাজ্যসভায় অচলাবস্থা জারি। এই আবহে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডু বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষকে এই সমস্যা মেটাতে সরকার ও বিরোধীদের আলোচনা করতে বসতে বললেন। রাজ্যসভায় যাতে কাজ জারি থাকে, তার জন্য বিরোধী দল এবং সরকারকে অনুরোধ করেছেন বেঙ্কাইয়া নাইডু।
এদিন রাজ্যসভায় সাংসদদের সাসপেনশনের বিষয়টি ফের একবার উঠলে কক্ষের চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘আপনাদের অসদাচরণের জন্য কোনও অনুশোচনা না তবে কক্ষের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত নির্দেশ প্রত্যাহার করার জন্য জোর দিচ্ছেন। এটা কি গণতন্ত্রের কে সম্মান জানানোর মতো কাজ?’
নাউডু আরও বলেন, ‘ডেপুটি চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে এটি নিয়ে কথা বলার জন্য এবং হাউজের স্বাভাবিক কার্যক্রম সফল করতে এগিয়ে আসতে প্রয়োজনীয় পদক্ষের নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমিও এই সম্মানিত হাউজের উভয় পক্ষকে এটি নিয়ে কথা বলার জন্য এবং হাউজকে কাজ করতে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’
দেশের উপরাষ্ট্রপতি বলেন যে রাজ্যসভার কিছু সাংসদ এই সাসপেনশকে অগণতান্ত্রিক হিসাবে বর্ণনা করছেন, তবে তিনি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন যে এই ধরণের বর্ণনার কোনও যুক্তি আছে কিনা। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পদক্ষেপ প্রথম নয়। সদস্যদের এই ধরনের বরখাস্ত, ১৯৬২ থেকে শুরু করে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১১টি ঘটনা ঘটেছে, যা সেই সময়কার সরকারের দ্বারা প্রবর্তিত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে। সবই কি অগণতান্ত্রিক ছিল? যদি তাই হয়, তাহলে এতবার কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল?’