হাতে পড়ে নেই আর বেশিদিন। তার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর ঝুলছে ইমপিচমেন্টের খাঁড়া। তবে বিশেষ অধিকার ব্যবহার করে মেয়াদ শেষের আগেই ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে রাজি হলেন না ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
ইতিমধ্যে সংবিধানের ২৫ তম সংশোধনী প্রয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসে ভোটাভুটির প্রস্তুতি নিচ্ছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। সেই প্রস্তুতির মধ্যে স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠি দিয়ে পেন্স জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে সরানোর জন্য সংবিধানের সেই ধারার প্রয়োগের পক্ষপাতী নন তিনি। পেন্সের কার্যালয়ের তরফে যে চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের দেশের স্বার্থের পক্ষে এরকম পদক্ষেপ একেবারেই ভালো নয় বলে বিশ্বাস আমার বা তা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দল রিপাবলিকানের কমপক্ষে তিন সদস্যও ইমপিচমেন্টের দাবি তুলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ভোটাভুটিতে ইমপিচমেন্টের পক্ষে সায় দেবেন তাঁরা। এমনিতে ২৫ তম সংশোধনীর আওতায় প্রেসিডেন্টকে সরানো জন্য ভাইস-প্রেসিডেন্টকে ঘোষণাপত্রে জারি করতে হয়। প্রয়োজন হয় প্রেসিডেন্টের মন্ত্রিসভার সংখ্যাগরিষ্ঠতার।
তারইমধ্যে পেলোসিকে ট্রাম্পের ডেপুটি জানিয়েছেন, মসৃণভাবে প্রশাসনিক দায়-দায়িত্ব জো বাইডেনের হাতে তুলে দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে পেলোসি এবং কংগ্রেসের অন্যান্য সদস্যদের এমন কোনও কাজ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছেন পেন্স। যা ‘বিভেদ তৈরি করবে এবং বর্তমানের আবেগে ঘৃতাহুতি হবে।'
পেন্স আরও বলেন, ‘আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথগ্রহণের যখন প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন উত্তেজনা প্রশমন এবং আমাদের দেশের জোটবদ্ধ করতে আমাদের সঙ্গ দিন।’ একইসঙ্গে পেন্সের বক্তব্য, ২৫ তম সংশোধনীকে ‘শাস্তি বা অন্যায়’-এর মাধ্যম হিসেবে প্রয়োগ করা হলে তা খুব ভয়ানক উদাহরণ তৈরি করবে।