উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে অনুষ্ঠিত কুম্ভ মেলা নিয়ে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে দেশে। গঙ্গা স্নানের এই পূণ্য উসব করোনা সুপারস্প্রেডার না হয়ে দাঁড়ায়, তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে কুম্ভ ফেরত পূণ্যার্থীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বৃহন্মুম্বই পৌরনিগমের মেয়র কিশোরী পেদনেকর। উল্লেখ্য, ঠিক যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকাল গোটা ভারত, তখনই কুম্ভমেলা উপলক্ষে হরিদ্বারে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। আর এই মেলা নিয়ে তাই তোপ দেগেছে বিরোধী দলগুলি।
এদিন মুম্বইয়ের মেয়র বলেন, 'কুম্ভ মেলা থেকে নিজেদের রাজ্যে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিরা প্রসাদের মতো করোনা বিতরণ করবে। এই ব্যক্তিদের নিজেদের খরচায় কোয়ারেনটিনে রাখা উচিত।' উল্লেখ্য, এদিন সকালেই প্রতীকী কুম্ভের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপরই এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কিশোরী পেদনেকর।
এদিন কিশোরী পেদনেকর আরও বলেন, '৯৫ শতাংশ মুম্বইকর করোনা বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। তবে ৫ শতাংশ মানুষ এসব বিধিনিষেধ মানছে না। এবং এই ৫ শতাংশের জেরেই সমস্যায় পড়ছেন। আমার মতে করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে মুম্বইতে পূর্ণ লকডাউন জারি করা উচিত।'
এদিকে গতকালকের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ৬৩ হাজার ৭২৯ জন। এছাড়া সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এটাই সেরাজ্যের রেকর্ড।
এদিকে এদিন সকালেই প্রতীকী ভাবে কুম্ভমেলা পালনের পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহামারীকে নিয়ন্ত্রণে আনতেই এই আবেদন রেখেছেন তিনি। এদিন টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ইতিমধ্যেই হিন্দু ধর্ম আচার্য সভার সভাপতি স্বামী অবধেশানন্দ গিরিজি মহারাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি আমি। আমি তাঁকে জানাই, কুম্ভমেলার মতো যেকোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দলে দলে পুণ্যার্থীরা এক জায়গায় জড়ো হন। যার ফলে সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পড়ে।