বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > কেন্দ্র কি পেগাসাসের লইসেন্স নিয়েছে? স্পাইওয়্যার বিতর্কে বল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে

কেন্দ্র কি পেগাসাসের লইসেন্স নিয়েছে? স্পাইওয়্যার বিতর্কে বল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে

পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ (ফাইল ছবি : পিটিআই) (PTI)

কেন্দ্র বা কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা কি পেগাসাস স্পাইওয়্যারের লাইসেন্স নিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব জানতে এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন দুই সাংবাদিক।

কেন্দ্র বা কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা কি পেগাসাস স্পাইওয়্যারের লাইসেন্স নিয়েছে? এই প্রশ্নের জবাব জানতে এবার সুপ্রিমকোর্টে দায়ের করা হল মামলা। জানা গিয়েছে এই মামলা করেছেন হিন্দু গ্রুপের প্রধান এন রাম এবং এশিয়ান কলেজ অফ জার্নালিজম শশীকুমার বালকৃষ্ণ মেনন। মামলাকারীর তরফে এই সফটওয়্যারটাকে একটি অস্ত্র বলে অভিহিত করা হয়। বলা হয়, 'এভাবে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার সাইবার অপরাধের সামিল। কেন্দ্র যেভাবে পেগাসাস রাখার বিষয়টি অস্বীকার করা থেকে বিরত থাকছে তা চিন্তার।'

অভিযোগ, পেগাসাস স্পাইওয়্যারের ব্যবহারে শুধু ফোন হ্যাক করা হচ্ছে তা নয়, যাঁর ফোন হ্যাক করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে যুক্ত বাকিদের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যায়। ক্লায়েন্ট কোম্পানি এনএসও গ্রুপ প্রায় পঞ্চাশ হাজার ফোন নম্বর ২০১৬ সাল নাগাদ থেকে টার্গেট তালিকায় রেখেছে। পেগাসাস শুধু নজরদারিই চালায় না, এটি এক প্রকারের সাইবার-অস্ত্র যেটা ভারতীয় রাজনীতির উপর ক্ষেপণ করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এনিয়ে কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে যদি ধরেও নেওয়া হয় যে পেগাসাসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রেও তা জাতীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে তা ঝুঁকিপূর্ণ।

এর আগে পেগাসাস কাণ্ডে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের আর্জি জানিয়ে পিটিশন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আইনজীবী এমএল শর্মা এই পিটিশন জমা করেছেন। তিনি জানান, দেশের গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার উপর আঘাত হেনেছে এই পেগাসাস স্পাইওয়্যার। বিষয়টি মারাত্মক। এই ধরনের নজরদারি নৈতিক বিকৃতির পরিচয়।

এদিকে পেগাসাস নজরদারি কেলেঙ্কারিতে তদন্ত কমিশন গঠন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দেশের সমস্ত বিরোধী দল এই পেগাসাসের মাধ্যমে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, বিচারক এবং উচ্চপদস্থ সরকারি অফিসারদের ব্যক্তিগত জীবনে নজরদারির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। দাবি উঠেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের। এই আবহে ভারত সরকারের হাতে পেগাসাস রয়েছে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট জবাব পেতে মামলা দায়ের শীর্ষ আদালতে।

বন্ধ করুন