আইন কমিশনের চেয়ারপার্সন ঋতূরাজ অগস্তি জানিয়ে দিলেন, একসঙ্গে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করতে গেলে আরও মিটিং করতে হবে। আইন কমিশন এনিয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন ও নারী সংগঠনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে ইস্যুকে কেন্দ্র করে আরও বোঝার জন্য এটার প্রয়োজন রয়েছে।
সিএনএন নিউজ ১৮ এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অগস্তি জানিয়েছেন, প্যানেল একাধিক ক্ষেত্রে আলোচনা জারি রেখেছে। ল কমিশনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জেলায় ঘুরে এনিয়ে পর্যালোচনা করবেন। এনিয়ে কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা দূর করার জন্য পাবলিক মিটিংও করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের মিটিং শীঘ্রই হবে।
অগস্তি জানিয়েছেন, লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার ক্ষেত্রে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার ক্ষেত্রে আরও মিটিং করা দরকার। তাঁর মতে, এভাবে একসঙ্গে ভোট হলে নেতাদের মনোনয়ন করাটা আরও সহজ হবে, আরও বেশি মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য বের হবেন।
তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, যদি তাদের নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয় তবে নির্বাচনী পদ্ধতি তারা লাগু করতে পারেন।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে আট সদস্য়ের কমিটি শনিবার গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। একটা কমন ভোটার আইডি কার্ড, ভোটার তালিকা ও প্রয়োজনীয় রদবদল সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে।
ওই প্যানেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, অর্জুন রাম মেঘাওয়াল, গুলাম নবি আজাদ, প্রাক্তন ফিনান্স কমিশন চেয়ারম্যান এনকে সিং, প্রাক্তন লোকসভা সেক্রেটারি জেনারেল সুভাষ কে কাশ্যপ, প্রাক্তন চিফ ভিজিল্যান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি, আইনজীবী হরিষ সালভে এই কমিটিতে রয়েছেন। তবে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই কমিটি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।