রাজ্যসভায় বিজেপির নতুন দলনেতা হচ্ছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। থাওয়ারচাঁদ গেহলটের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন তিনি। তবে বিজেপির তরফে রাজ্যসভায় উপ-দলনেতা কে হবেন, সে বিষয়ে অবশ্য জানা যায়নি। উল্লেখ্য, থাওয়ালচাঁদ গেহলট কর্নাটকের রাজ্যপাল হিসাবে শপথ নেবেন।
এর আগে পীযূষ গোয়েল রাজ্যসভায় উপ-দলনেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল হয়। রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পীযূষ গোয়েলকে। তবে তাঁকে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই তাঁকে কোন দায়িত্বে নিয়ে আসা হবে, সে নিয়ে বিজেপির অন্দরে আলোচনা চলছিল। রাজ্যসভায় দলনেতা কাকে করা হবে সে বিষয়ে পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কথাও আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের অধিবেশন। তাঁর আগে রাজ্যসভার দলনেতা নির্বাচন করল বিজেপি। রাজ্যসভায় দলনেতার কাজ হল বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে রাজ্যসভায় অধিবেশন যাতে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। পাশাপাশি দলনেতা হিসাবে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গিকে সকলের সঙ্গে তুলে ধরাও কাজ। এর আগে যখন কৃষি বিল নিয়ে রাজ্যসভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়, অধিবেশন ব্যাহত হয়, তখন উপ দলনেতা হিসাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন পীযূষ। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভার নতুন দলনেতাকে স্বাগত জানিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী।
সম্প্রতি বস্ত্র মন্ত্রকের দেওয়া ছাড়াও পীযূষকে আটটি কমিটির মধ্যে পাঁচটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁকে সংসদ বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়নি। এই ক্যাবিনেট কমিটিই অধিবেশনের সূচি নির্ধারণ, বিল ও প্রস্তাব সংক্রান্ত ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাখার ক্ষমতা রাখে। তবে এই কমিটিতে অবশ্য জায়গা হয়নি পীযূষের। পীযূষের দলনেতা হওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যসভার এক বিরোধী দলের সাংসদের মতে, পীযূষ খুব বন্ধুসুলভ আচরণ করেন তাঁদের সঙ্গে। সেন্ট্রাল হলে কফি খেতে এসে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময়ও করেছেন তিনি।