অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনকে সোমবার ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও এই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাওয়া সম্পত্তির খতিয়ানে হতবাক আধিকারিক থেকে প্রতিবেশীরা। অভিযান চলার সময় একবার পীযূষকে এই বিপুল সম্পত্তির উত্স জিজ্ঞাসা করেছিলেন আধিকারিকরা। তখন ঠাট্টার সুরে পীযূষ বলেছিল, ‘পৈত্রিক সম্পত্তি ৪০০ কেজি সোনা বিক্রি করে এই নগদ পেয়েছি।’ পরে অবশ্য ঠাট্টা তামাশা দূরে সরিয়ে জোরদার জেরা চলে। জেরার মুখে পীযূষ নিজের সম্পত্তির উত্স সম্পর্কে মুখ খোলেন বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে ডিজিজিআই-এর এক কর্তা এই বিষয়ে বলেন, ‘পীযূষ জৈন স্বীকার করেছেন যে বিনা জিএসটিতে পণ্য বিক্রি করে কর ফাঁকি দিয়ে এত পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছিলেন তিনি।’
জানা গিয়েছে, ডিজিজিআই অফিসাররা কনৌজে ব্যবসায়ীর বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে ৫০০টি চাবি খুঁজে পেয়েছেন। তবে এত চাবির মধ্যে থেকে খুঁজে বের করে তালা খুলতে ভিজিল্যান্স টিমকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। পরে চার ঘণ্টা পরে তালা ভাঙতে এক ডজন কারিগরকে ডাকা হয়। মাটি খুড়েও তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। মাটি খুড়ে টাকা বের করতেও দিনমজুর ডাকা হয়েছিল। পীযূষের ধন খুঁজে বের করতে লখনউ থেকে বড় এক্স-রে মেশিন আনা হয়। ৮৪ ঘণ্টা ধরে লাগাতার কাজ করেন ৩৪ জন আধিকারিক।
১৯৪.৫ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধারের পাশাপাশি ১২৫ কেজি সোনা, ৬০০ কিলো চন্দন কাঠ এবং কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে পীযূষের বাড়ি থেকে। এখনও পর্যন্ত, ডিজিজিআই অভিযানে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ বের করা হয়েছে। কনৌজে পীযূষের বাড়ির দেয়াল থেকে সোনার খসে পড়ছে আর মাটির তলা থেকে নগদ টাকার বান্ডিল বেরিয়ে আসছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিপ্পট্টিতে অবস্থিত তাঁর বাড়িতে ১২৫ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। ডিজিজিআই অফিসাররা ৫০টিরও বেশি ব্যাগে ৩৫০টি ফাইল এবং ২৭০০টি নথি ঢুকিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছেন। পীযূষের বেডরুমের খাটের ভিতর থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রুমের খাটের নিচে লকারও পাওয়া গিয়েছে।