অতীতের মতো চাষীদের সঙ্গে ফের ছলনা করছে বিরোধীরা, অভিযোগ মোদীর
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 30 Nov 2020, 05:44 PM ISTগঙ্গাজলের মতোই পবিত্র তাঁদের উদ্দেশ্য, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
গঙ্গাজলের মতোই পবিত্র তাঁদের উদ্দেশ্য, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল উত্তর ভারত। আর সেই নিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসী থেকে ফের কৃষকদের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তীব্র ভাষায় কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের সঙ্গে ছলনা করছে বিরোধীরা।
কোনও দলের নাম না নিয়ে এদিন বিরোধীদের একহাত নেন মোদী। তিনি বলেন নয়া আইন কৃষকদের হাত শক্তিশালী করেছে, তাদের আইনি সুরক্ষা দিয়েছে। বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজ ছয় রাস্তা বিশিষ্ট হাইওয়ে চালু করার সময় চাষীদের উদ্দেশে কথা বলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি তাঁদের উদ্দেশ্য গঙ্গাজলের মতো পবিত্র। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে ভারতের কৃষিপণ্য সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত। চাষীদের কি বড় বাজারে মাল বিক্রি করার সুযোগ পাওয়া উচিত নয়, সেই প্রশ্ন করেন তিনি। পুরনো পদ্ধতি অনুযায়ী যারা কেনাবেচা করতে চান, সেটা তো বন্ধ করা হচ্ছে না, বুঝিয়ে বলেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে আগে নিজের মান্ডির বাইরে বিক্রি করতে পারত না চাষীরা। তাই ভালো দাম পেত না তারা। সেটা এবার বন্ধ হবে। চাষীদের হিতেই এই তিনটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেন মোদী। আগামী দিনে চাষীরা এর সুফল ভোগ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মতে যে কোনও বিষয়ে সমালোচনা হওয়া গণতন্ত্রে স্বাভাবিক। কিন্তু এখন লোকজন গুজব রটিয়ে দিচ্ছে, সেটা নিয়েই বিরোধীরা বসে আছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন আগে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কথা ঘোষণা করত সরকার, কিন্তু খুব অল্পই সেই দামে কেনা হত। যে ঋণ মুকুবের ঘোষণা হত সেটা ছোটো চাষীদের কাজে আসত না। রাজীব গান্ধীর বিখ্যাত উক্তিকে স্মরণ করে মোদী বলেন যে ওরা নিজেরাই মনে করত যে একটা টাকা দিলে মাত্র পনেরো পয়সা যাবে চাষীদের কাছে। প্রসঙ্গত রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বলেছিলেন যে এক টাকা বরাদ্দ করলে মাত্র ১৫ পয়সা সাধারণ মানুষের কাছে যায়, বাকিটা চুরি হয়ে যায়।
পিএম কিষান যোজনা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনাকে এদিন হাতিয়ার করেন মোদী। তিনি বলেন এক লাখ কোটি ইতিমধ্যেই কৃষকদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। তিনি বলেন প্রতিশ্রুতি মতো তাঁরা স্বামীনাথন কমিশনের সুপারিশও মেনেছেন। এরপর ইউপিএ আমলের সঙ্গে তাদের জমানায় চাষীদের জন্য কি কি করা হয়েছে, সেটার তুলনা মানুষের কাছে তুলে ধরেন মোদী।
মূলত পঞ্জাবের চাষীরা কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দিল্লিতে এসেছে। অমিত শাহ তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিলেও সেটা প্রত্যাখান করেছে চাষী সংগঠনগুলি। তাদের মূলত দুটি দাবি, তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে ও ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে আইনি স্বীকৃতি দিতে হবে।