বেঙ্গালুরুতে মিটিং হয়েছিল বিরোধী জোটের। জোটের নাম I.N.D.I.A। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এই যে এত তোড়জোড় তার মধ্য়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ কে হবেন? তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস অবশ্য় এই প্রধানমন্ত্রীর মুখ নিয়ে সেভাবে আগ্রহ দেখায়নি বলে খবর। তবে হাতে গরম এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে রাজি নয় তৃণমূলের একাংশ।
সূত্রের খবর, এর আগে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, নিজেদের জন্য় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার কোনও ইচ্ছা কংগ্রেসের নেই। এনিয়ে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, আমাদের ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ওই পদে বসুন।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস পিছু হঠতেই তৃণমূল নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন।কার্যত মনের মধ্য়ে লাড্ডু ফুটছে। এখনও আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তার মধ্য়েই শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর আসন নিয়ে স্বপ্ন দেখার পালা।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শতাব্দী রায়কে প্রশ্ন করা হয়েছিল কংগ্রেস তো প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নেই। সঙ্গে সঙ্গে শতাব্দীর উত্তর তবে, আমাদের ইচ্ছা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় হোন( প্রধানমন্ত্রী)
এদিকে সূত্রের খবর, মিটিংয়ের মধ্য়েও খাড়গে জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি চেন্নাইতেও বলেছিলাম, কংগ্রেসের ক্ষমতার লোভ নেই। প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে আগ্রহী নয়। ক্ষমতা দখল করার জন্য় নয়, আমাদের গণতন্ত্র, সংবিধান, সামাজিক ন্যায়কে রক্ষা করার জন্য় এই জোট।
এদিকে ভিসিকে প্রধান থোল থিরুমাভালাভান মঙ্গলবার জানিয়েছেন জোটের নাম যে ইন্ডিয়া হবে এটা প্রস্তাব করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই অনুসারে ওই নামটি পাশ করা হয়।
তবে এবার শুধু নাম দিয়েই ক্ষান্ত নয়, জোটের রাশ যে তৃণমূল নিতে চাইছে সেটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সেই সঙ্গে এবার একেবারে মনের কথা বলে দিলেন শতাব্দী রায়।
কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শতাব্দী রায় মমতাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান। কিন্তু সেই লাইনে তো পরপর অনেকজন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, নীতীশ কুমার সহ পরপর নাম আসছে। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের বাসনা কেউ আপনা থেকে ছেড়ে দেবে এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন এনডিএর প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন। কিন্তু বিরোধীদের মুখ কে হবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। এক্ষেত্রে একাধিক নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তার প্রথমের সারিতে শোনা যাচ্ছিল রাহুল গান্ধীর নাম। তবে এবার শতাব্দী রায় তাঁর স্বপ্নের কথা বলেই দিলেন।