পেগাসাস ঝড়ে তোলপাড় সংসদের উভয় কক্ষ। বিরোধীদের ক্রমাগত বিক্ষোভে বারবার সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করতে হয়েছে। সেভাবে সংসদের কাজ হয়নি। তবে বিরোধীরা থামছেন না। বরং পেগাসাস ইস্যুতে একদোট হয়ে মোদী-শাহ জুটির জবাব চাইছে বিরোধী দলের সাংসদরা। এই পরিস্থিতিতে পালটা তোপ দাগছেন বিজেপি সাংসদরাও। তবে এবার সংসদে বিজেপি সাংসদদের ধৈর্য ধরতে বললেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে সংসদের অধিবেশনে সেভাবে কাজ না হলেও পরপর বিল পাশ হচ্ছে উভয় কক্ষে। এই নিয়ে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন টুইট করে লিখেছিলেন, ‘সংসদে বিল পাশ করছেন নাকি পাপড়ি চাট বানাচ্ছেন।’ আজকের বৈঠকে ডেরেকের এই মন্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদী। এক সাংসদ এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান যে মোদী বলেছেন, এই মন্তব্য সেসব ভারতীয়কে অপমান যাঁরা সাংসদদের নির্বাচিত করেছেন।
জানা গিয়েছে, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে সাংসদদের অধিবেশনের সময় সংযম বজায় রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের বিক্ষভ সত্ত্বেও যাতে সংসদের গরিমা বজায় থাকে তার জন্যই ধৈর্য বজায় রাখতে বলেন মোদী। পাশাপাশি অধিবেশনের কাজ চলতে না দেওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদী বিরোধীদেরও তুলোধোনা করেন এদিনের বৈঠকে। এর আগে নিজের দলের সাংসদদের মোদী নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে সংসদে বিরোধীদের আচরণের বিষয়টি সংবাদমাধ্যম এবং জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে সংসদের অধিবেশন অচল থাকায় অন্তত ১৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
এদিকে বিরোধীদের উস্কানিতে যাতে সাংসদরা আমল না দেয়, সেই নির্দেশ দিলেন মোদী। তবে সংসদের কাজ যাতে জারি রাখা যায়, তার জন্য সব সাংসদদের সংসদে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। এদিকে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশে যাতে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প ঠিক ভাবে লাগু করা হয় এবং খাদ্যশস্য মানুষের কাছে পৌঁছায়, সেই দিকে নজর দিতে সাংসদদের নির্দেশ দেন মোদী।