এতদিন রাজনৈতিকভাবে চাপ দিচ্ছিল বিজেপি। এবার জ্বালানি তেলের উপর ভ্যাট কমানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের মতো একাধিক রাজ্যের কাছে ‘আর্জি’ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে তিনি জানালেন, কারও সমালোচনার জন্য সেই মন্তব্য করেননি, মানুষের স্বার্থে করেছেন।
বুধবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, ‘গত নভেম্বরে জ্বালানি তেলের উপর শুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে কর কমানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল। আমি কারও সমালোচনা করছি না। তবে আমি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালা, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ুকে (জ্বালানি তেলের) ভ্যাট কমিয়ে মানুষকে সুবিধা দেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: HS Results 2022: কবে প্রকাশিত হবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল? পরীক্ষা শেষের দিনেই জেনে নিন
বিষয়টি কী?
গত বছর দীপাবলি থেকে পেট্রল এবং ডিজেলের উপর উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে দেয় কেন্দ্র। প্রতি লিটার পেট্রলে শুল্ক কমানো হয় পাঁচ টাকা। ডিজেলের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয় ১০ টাকা। কেন্দ্রের সেই ঘোষণার পরই একাধিক বিজেপি-শাসিত রাজ্যে ভ্যাট কমানো হয়। একাধিক বিরোধীশাসিত রাজ্যেও সেই পথে হেঁটেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সেই পথে হাঁটেনি। তারপরই তেড়েফুঁড়ে নামে বিজেপি। মমতা অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, পেট্রল ও ডিজেলের উপর থেকে রাজ্যে ভ্যাট কমানো হচ্ছে না। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে প্রচুর সামাজিক প্রকল্প আছে। সিলিকন ভ্যালি ২.০ তৈরি হচ্ছে। 'প্রবলেম শুধু একটাই। এত বেশি পেট্রল, ডিজেলে, গ্যাসের দাম বাড়ছে। মানুষের টাকাপয়সা এমনভাবে রুদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।'
তৃণমূলের এবং বিজেপির প্রতিক্রিয়া
তারইমধ্যে চলতি বছর পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে কয়েক মাস জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়নি। ভোট মিটতেই হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে তেলের দাম। রেকর্ড করে ফেলেছে পেট্রল। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ডিজেল। কলকাতায় এক লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৯.৮৩ টাকা। কলকাতায় এক লিটার পেট্রলের দাম ১১৫.১২ টাকা দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকার দেউলিয়া হওয়ার পথে, তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা নেই মমতার
সেই পরিস্থিতিতে মোদীর ‘আর্জি’ নিয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের দাবি, করোনা সংক্রান্ত বৈঠকে রাজনীতি করছেন প্রশাসনিক প্রধান। প্রতিহিংসাপরায়ণ মনোভাব নিচ্ছেন। ৭৫ শতাংশের বেশি কর তো কেন্দ্র নেয়। পালটা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘নিজের পার্টির লোকেদের পুষতে পুষতে সরকারের অবস্থা খারাপ। ট্যাক্স কমাতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেনশন দিতে পারছে না। দু'দিন পর মাইনেও বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করতে হবে।’