প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার সমস্ত সরকারি বিভাগ এবং মন্ত্রকগুলিতে মানব সম্পদের অবস্থা পর্যালোচনা করেন। এর পরেই আগামী ১৮ মাসে দশ লক্ষ লোক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে। এই নিয়ে পিএমও-র তরফে টুইট করা হয়েছে। এই ঘোষণার পরই অবশ্য বিরোধীরা কেন্দ্রকে তোপ দাগেন। বিরোধীদের বক্তব্য, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার সময় বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এখন তিনি দেড় বছরে মাত্র ১০ লাখ চাকরির কথা বলছেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে টুইট করে লেখা হয়, 'সব বিভাগ এবং মন্ত্রকের কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী দেড় বছরে তৎপরতার সঙ্গে ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।' এই টুইটের পরই অবশ্য কেন্দ্রকে তোপ দাগেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এর আগে বছরে ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই মতো চাকরি হয়নি। তাই এই ঘোষণার কোনও নিশ্চয়তা দেখতে পাচ্ছি না আমি।’
এদিকে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা মঙ্গলবার দিল্লিতে এই টুইট প্রসঙ্গে বলেন, ‘৫০ বছরে বেকারত্ব সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। টাকার দাম সর্বনিম্নে এসে ঠেকেছে। আর প্রধানমন্ত্রী টুইটার টুইটার খেলা খেলছেন।’ এদিকে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মোদী বছরে ২ কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিলেন। এতদিনে তাহলে ১৬ কোটি চাকরি দেওয়ার কথা। সেই গল্প চলে গিয়ে এখন সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ হচ্ছে।’