অবৈধভাবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশের অভিযোগে ৯ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় মন্দিরের নিয়ম লঙ্ঘন করে ভিতরে ঢুকে পড়েন ওই ৯ জন বাংলাদেশি। বিষয়টি নজরে আসতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। তার ভিত্তিতে ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আরও সহজে ঘোরা যাবে পুরীর মন্দিরে, খুলছে নয়া করিডর! থাকছে অত্যাধুনিক ক্যামেরা
জানা গিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা একদল অহিন্দুকে মন্দিরের নিয়ম লঙ্ঘন করে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখেন। এরপর তাদের তরফে সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ এসে তাদের গ্রেফতার করে। পুরীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশীল মিশ্র জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রথমে নিয়ম ভঙ্গকারীদের আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয়। আরও তদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি যে বাংলাদেশ থেকে কিছু অহিন্দু মন্দিরে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তিনি জানান, নিয়ম লঙ্ঘন করে অহিন্দুরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা ধৃতদের পাসপোর্ট যাচাই করছি। দেখা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে একজন হিন্দু। আমরা অন্যদের পাসপোর্টও পরীক্ষা করছি। প্রাথমিক তদন্তে দেখা যাচ্ছে যে ৯ জনের মধ্যে ৪ জন মন্দিরে প্রবেশ করেছিল।’ যারা নিয়ম লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দুদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে অহিন্দুদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয় না। অর্থাৎ এক কথায় বলতে গেলে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুরীর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-বজরং দলের কর্মী শান্তনু পান্ডে বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দিরের হেরিটেজ করিডরে ৫ জন অহিন্দুকে দেখা যায়। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি যে তাদের ৪ বন্ধু মন্দিরে প্রবেশ করেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সিংহদ্বার পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে মন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অনুরোধ করছি।’