মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে ইস্তফা দিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মিমি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, সাধারণভাবে বলছি, আমি দলের কথা বলছি না। আজ পর্যন্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। নিজের দলের বিরুদ্ধে কী বলব। কিন্তু এটাই বলব পরিষেবা দিতে গিয়ে যে বাধাগুলি পেয়েছি, বাধাগুলির কথা দিদিকে জানিয়েছি। দিদি স্টেপ নেবেন। বাকিটা সবই দিদির উপর। আমি হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি আমি সৎ। আপনারা মিডিয়া বাকিটা আপনারা দেখতে পারেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে মিমি এদিন জানিয়েছেন, রাজনীতি আমার জন্য নয়। এখানে( রাজনীতি) আমি একজন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করি। আমার সমান দায়িত্ব রয়েছে। যদি আপনি রাজনীতিতে যোগ দেন, আপনি কাজ করুন অথবা না করুন আপনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। আমি এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছি। আমি একথাও বলতে চাই ২০২২ সালেও আমি এম পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে তাঁকে বলেছিলাম। সেই সময় তিনি মানতে চাননি।…
অনেকে বলছেন মিমির এই পদক্ষেপকে দেব মডেল বলে মনে করছেন। দেবও এই ইস্তফার পথে হেঁটেছিলেন। আবার অনেকের মতে মিমি দেবকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন। একেবারে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। তবে তিনি কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে এই চিঠি দিয়েছেন। তিনি আর কাউকে এই চিঠি এখনও দেননি বলে খবর। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁকে ইস্তফা দিতে বারণ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একেবারে শেষ বেলায় এসে কেন তিনি ইস্তফা দিলেন? তবে কি আগামী ভোটে দলের টিকিট নিশ্চিত করার জন্যই তিনি এই পদক্ষেপ নিলেন?
তবে মিমি অবশ্য জানিয়েছেন, আমি একথাও বলতে চাই ২০২২ সালেও আমি এম পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে তাঁকে বলেছিলাম। সেই সময় তিনি মানতে চাননি।…
তবে এরপর মিমি আদৌ এই ইস্তফা স্পিকারের কাছে জমা দেন কি না, আদৌ তিনি পরের ভোটে দাঁড়ান কি না সেটাই দেখতে চাইছে বাংলা।
সম্প্রতি সংসদের দুটি স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন যাদবপুরের সাংসদ। এমনকী তাঁর লোকসভায় থাকা স্বাস্থ্য়কেন্দ্রের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকেই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। সংসদের শিল্প বিষয়ক স্ট্য়ান্ডিং কমিটির সদস্যের পদ থেকে ও কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক ও নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ কমিটির যৌথ কমিটির সদস্য পদ থেকেও সরে গিয়েছেন তিনি। এরপরই মিমিকে ঘিরে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে ওঠে। এবার এমপি পদ থেকেই ইস্তফা।