কৃষি আইনের বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনে নেমেছিলেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমান্তে দিনের পর দিন ধরে চলেছে আন্দোলন। আর শেষ পর্যন্ত কার্যত সেই আন্দোলনের চাপে পড়েই কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। তবে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হলেও ফসলের ন্যূনতম দাম নির্ধারনের দাবিতে নতুন করে হুঁশিয়ারি কৃষক নেতৃত্বের।ভারত কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত রবিবার জানিয়েছেন, কৃষকরা যাতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পান সেব্যাপারে সরকারকে আইন আনতে হবে। আর সেটা না হলে আগামী ২৬শে জানুয়ারি ফের বড় আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি। কৃষক আন্দোলনের ওই নেতা জানিয়েছেন, ২৬শে জানুয়ারি আর বেশিদিন বাকি নেই। চার লক্ষ কৃষক ও ট্রাক্টর কিন্তু হাজির রয়েছেন।
রাকেশ টিকায়েতের এই কথার মধ্যে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির ইঙ্গিত পেয়েছেন অনেকেই। তিনি বলেন, আমাদের আতঙ্কবাদী ঘোষণা করে জেলে পুরে দাও। এরপরই তিনি বলেন, ভারত সরকার আপনাকে বলছি, মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইসের উপর আইন করুন। ২৬শে জানুয়ারি বেশি দূরে নেই। কৃষকরাও এখানেই আছেন। দেশের চার লক্ষ ট্রাক্টরও এখানেই আছে।
মুম্বইতে কিষান মহাপঞ্চায়েতকে সামনে রেখে একথা জানিয়েছেন কৃষক নেতা। পাশাপাশি লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অজয় মিশ্রের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে কৃষি আইন বাতিল করেও স্বস্তি নেই বিজেপি সরকারের। ফের সুর চড়াতে শুরু করেছেন কৃষক নেতৃত্ব।