সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সুবিধা হল না রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার সিপি যোশীর। শীর্ষ আদালত জানাল যে রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার বিদ্রোহী বিধায়কদের বরখাস্ত করার যে নোটিস পাঠিয়েছেন, সেই নিয়ে আদেশ দিতে পারে হাই কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টে অরুণ মিশ্রর তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানাল যে আপাতত তারা রাজস্থান হাইকোর্টে যে মামলা চলছে, তাতে তারা হস্তক্ষেপ করবেন না। রাজস্থান হাইকোর্ট বলেছিল যে ২৪ জুলাই অবধি স্পিকার যেন নোটিসের বিষয় কোনও ব্যবস্থা না করেন। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে যান স্পিকার সিপি যোশী।
এদিন সচিন পাইলটের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি বলেন যে স্পিকার যদি আগে নিজের থেকে দুই বার নোটিসের ওপর শুনানি স্থগিত করেছেন, তো এবার সমস্যা কি হল। একই প্রশ্ন করেন সচিন পাইলটের আরেক আইনজীবী হরিশ সালভে।
সিপি যোশীর হয়ে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন যে রাজস্থান হাইকোর্ট অর্ডার শব্দটি ব্যবহার করল কেন। স্পিকারকে অর্ডার দেওয়ার হাইকোর্ট কে, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। স্পিকার যতক্ষণ শুনানি না শেষ করে সচিন ও অন্যান্য বিধায়ক নিয়ে নিজের রায় দেন, তার আগে হাইকোর্টের এখানে কোনও এক্তিয়ারই নেই বলে কপিল সিবাল বলেন।
বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন কেউ কি তাহলে দ্বিমত প্রকাশ করতে পারবে না। গণতন্ত্রে এভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করা যায় কি, সেই প্রশ্নও বিচারপতি করেন কপিল সিবালকে।
কপিল সিবাল বলেন যে কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা হুইপ জারি করা সত্ত্বেও আসেননি, নিজের দলের বিরুদ্ধে আস্থাভোট নেওয়ার দাবি করছেন। এই জন্যই তাদের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছে যার শুনানি করবেন স্পিকার। কিন্তু আপাতত রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশের জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।