হাইকোর্টের ৩২ পাতার রায় পড়তে সময় লাগবে-এই অজুহাত দিয়ে সচিন পাইলটকে স্বস্তি দিয়ে রাজস্থান হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। স্পিকার সিপি যোশীর হয়ে সোমবার শীর্ষ আদালতে এই কথা বলেন আইনজীবী কপিল সিবাল। এই পিটিশন প্রত্যাহার করার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এর আগে গত সপ্তাহে রাজস্থান হাইকোর্ট বলে যে আপাতত সচিন পাইলট সহ ১৯জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবেন না স্পিকার সিপি যোশী। দলীয় বৈঠকে না গিয়ে সচিন ও তাঁর সঙ্গীরা দলবিরোধী কাজ করেছেন, এই অভিযোগ করে কংগ্রেস চিফ হুইপ তাদের বিধায়কপদ খারিজ করার জন্য স্পিকারের কাছে আর্জি পাঠান। সেই অনুযায়ী সচিন ও বাকিদের কাছে নোটিস যায়। সেটার বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে স্বস্তি পান রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। তারপরেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার। কিন্তু রণকৌশল বদলে আজ নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন স্পিকার সিপি যোশী।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এর পিছনে কংগ্রেসের নয়া কৌশল দেখছে যেখানে আইনি পথে নয় রাজনৈতিক ভাবে এই সংকট মোকাবিলা করতে চাইছে কংগ্রেস। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পথেও আপাতত যাচ্ছে না কংগ্রেস। রাজ্যপালকে ৩১ তারিখ থেকে বিধানসভা শুরু করার আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট। যদিও তাতে সহজে রাজি হবেন কলরাজ মিশ্র, এমন কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আরও কিছু অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল বিধানসভা খোলার বিষয়কে কেন্দ্র করে।
কংগ্রেসের ১৯জন বিধায়ক বিদ্রোহ করার পর রাজস্থানে যে সংকট দেখা দিয়েছে, আপাতত সেটা মেটার কোনও ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এরপর ফের স্পিকার আইনি পথে যান কিনা, এখন সেটাই দেখার।