দিল্লির করোনা সংক্রামিতদের চিকিৎসায় প্লাজমা দাম করতে রাজি হলেন ঝজ্ঝরের এইমস হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন অবস্থা থেকে ছাড়া পাওয়া ১২৯ জন তবলিঘি জামাত সদস্য।
ঝজ্ঝর এইমস হাসপাতালে করোনা পরিষেবা বিভাগের চেয়ারপার্সন চিকিৎসক সুষমা ভাটনগর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘আমরা কোয়ারেন্টাইন থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা কয়েক জন রোগীকে রক্ত দানের প্রস্তাব দেওয়ায় তাঁরা সাগ্রহে রাজি হয়েছেন। এখন আমরা রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখছি।’
তিনি জানিয়েচেন, সুস্থ হয়ে ওঠার দুই সপ্তাহের মধ্যে Covid-19 রোগীদের থেকে রক্ত সংগ্রহ করা যায়। তাঁর দাবি, বেশিরভাগ কোয়ারেন্টাইনে থাকা জামাত সদস্য দিল্লির বাইরে থাকেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশি। লকডাউন চলাকালীন তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তাঁদের থাকা ও রক্ত সংগ্রহের ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসায় করোনামুক্ত রোগীর রক্তের থেকে সংগৃহীত প্লাজমা করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়। এই প্রক্রিয়া ভারতে প্রথম প্রয়োগ করা হয় ম্যাক্স সকেত হাসপাতালে ভরতি ৪৯ বছর বয়েসি এক রোগীর ক্ষেত্রে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই রোগী। টানা এক সপ্তাহ ভেন্টিলেশনে থাকার পরে প্লাজমা থেরাপির ফলে মাত্র তিন দিনের মধ্যে ভেন্টিলেশন থেকে ছাড়া পান তিনি।
আরও পড়ুন: মাত্র কয়েক জনই আক্রান্ত, সংক্রমণ বৃদ্ধির অভিযোগ উড়িয়ে দাবি তবলিঘি প্রধানের
সম্প্রতি দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের ৪ জন এবং ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড বাইলিয়ারি সায়েন্সেস হাসপাতালে ভরতি ২ জন রোগীর ক্ষেত্রেও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে সুফল দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সংক্রমণ মুক্ত একজন রোগীর দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে তার থেকে প্লাজমা নিষ্কাশন করে দুই জন করোনা আক্রান্তকে সুস্থ করা যায়। এর আগে সার্স ভাইরাস সংক্রমণের সময়েও সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে আক্রান্তদের সারিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগে জামাত সদস্যদের প্লাজমা দান করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজ প্রধান মৌলানা সাদ।