সুতীর্থ পত্রনবীশ
চিন ও ভারত। সীমান্ত সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হয়নি এখনও। এনিয়ে উত্তেজনাও থাকে সীমান্তে। গত কয়েক দশক ধরে এই সমস্যা চলেই যাচ্ছে। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দুদেশের মধ্যে কার্যকরী আলোচনার মাধ্য়মে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব।
এদিকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার চিনকে এই সীমান্ত সমস্যার জন্য় কার্যত দোষারোপ করেছিলেন। চিনের নেতা ডেং জিওয়াপিং একটা সময় জানিয়েছিলেন এশিয়ান সেঞ্চুরি তখনই আসবে যখন ভারত ও চিন একসঙ্গে আসবে। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সেই প্রসঙ্গে পরিষ্কার জানিয়েছেন, এশিয়ান সেঞ্চুরি হওয়া খুব কঠিন কারণ ভারত ও চিন এক জায়গায় আসবে না। আর এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, ভারত আর চিনের সম্পর্কটা কোন জায়গায় যাচ্ছে। ব্য়াংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'India's Vision of the Indo Pacific' বক্তব্য রাখার সময় তিনি একথা জানিয়েছেন।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সময়ে দুজনের সম্পর্ক একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ গত দুবছরে সীমান্ত এলাকায় চিন যা করেছে। এদিকে দিল্লির তরফে বার বার বলা হয়েছে চিনের বাহিনী পূর্ব লাদাখে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে ও উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।
এদিকে জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, প্রকৃত অর্থে এশিয়া-প্যাসিফিক সেঞ্চুরি বা এশিয়ান সেঞ্চুরি তখনই সম্ভব যখন ভারত-চিন ও অন্যান্য দেশ প্রকৃত উন্নয়ন করবে। চিন ও ভারত দুই প্রাচীন দেশই তাদের অর্থনীতির উন্নতি করছে। দুজনেই পরস্পরের প্রতিবেশী। আমাদের পরস্পরের মধ্যে বিভেদের তুলনায় পারস্পরিক স্বার্থও রয়েছে।