১০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল ২৭ বছর বয়সি এক কোচের বিরুদ্ধে। তার কাছেই ব্যাডমিন্টন শিখতে আসত ওই কিশোরী। সেই সময় ওই কিশোরীকে চড় মেরেছিলেন ওই কোচ। কিন্তু সেটা কিছুটা অন্যরকম ছিল।
এমনকী তার বুকে চিমটি কেটেছিলেন ও নিতম্বে থাপ্পড় মেরেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরই এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, একজন কোচ তার ছাত্রীর নিতম্বে চাপড় মারবেন আর তার বুকে চিমটি কাটবে এটা প্রত্যাশিত নয়। আর এই ধরনের কাজ দুর্ঘটনাক্রমে হয়ে গিয়েছে বা আগে থেকে কোনও অভিপ্রায় ছিল না এটা বলা যাবে না।ওই ঘটনায় কোচকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে মুম্বই আদালত।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই এই ঘটনা হয়। দেড় মাস ধরে ওই কোচের কাছে আসত ওই কিশোরী। আর ঘটনার দিন ওই কোচ কার্যত বদ মতলব নিয়েই এই কাজ করেছিলেন বলে অভিযোগ। জানিয়েছেন বিচারপতি।
তিনি জানিয়েছেন, ১০ বছর বয়সি কোনও কিশোরীর বুকে চিমটি কাটা, তার নিতম্বে চাঁটি মারা সেটা কোনওভাবেই শাস্তির পদ্ধতি হতে পারে না।
ওই কোচের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। ১১ জুলাই থেকে ২৮ অগস্ট পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন। সেই সময় ৫০০০ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন তিনি। তবে বিচারপতি জানিয়েছিলেন এই জরিমানাটা যেটা অভিযুক্ত দিয়েছেন সেটা নির্যাতিতার কাছে যাওয়াটা দরকার। এটা না পেলে তিনি জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে আপিল করতে পারেন।
তবে এবার সেই অভিযুক্তকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।