আমাদের ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ দেওয়ার দরকার নেই বিশ্বের, কারণ ভারত স্বাভাবিকভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ ভাবধারার রক্ষাকর্তা। জানালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। রবিবার সন্ধ্যায় গ্রেটার নয়ডাতে সারদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ব-আধারিত ভারত’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন তিনি।
সূত্রের খবর, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর দুদিনের জন্য গ্রেটার নয়ডাতে থাকবেন মোহন ভাগবত। তিনি আরএসএস নেতা কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে আসা বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন।
আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষতা শেখানোর জন্য গোটা বিশ্বের প্রয়োজন নেই। কারণ ভারত সমস্ত ধর্মকে শ্রদ্ধা করে। ভারতের সংবিধানেই ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা রয়েছে। আমরা সবসময়ই বৈচিত্রের মধ্য়ে ঐক্য এই মতবাদে বিশ্বাসী। আমরা হুন, কুষাণ, ইসলামকে দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিলাম। আমাদের এই মাটি এতটাই সমৃদ্ধ যে এখানে যাঁরাই এসেছেন তাদেরকেই স্বাগত জানাতেন এখানকার রাজা মহারাজারা। আমাদের কোথাও কোনও সমস্যা ছিল না। সেটা আবহাওয়া হতে পারে, খাবার হতে পারে বা আধাত্ম্যবাদ হতে পারে। এখানে যারা আশ্রয় নিতে চেয়েছেন তাদেরই আশ্রয় দিয়েছি আমরা। আমরা সকলকে আহ্বান করেছি কারণ আমাদের ধর্ম এই শিক্ষাই দিয়েছে।
বিশ্বগুরু ভারতের জন্য ধর্ম পালনের কথা জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, অন্য দেশ থেকে কিছু নকল করার দরকার নেই। ভারতের নিজস্ব শক্তির উপর নির্ভর করে উন্নয়নের মডেলকে অনুসরণ করতে হবে। প্রায় ঘণ্টাখানেক তিনি বক্তব্য রাখেন। সেখানে চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টরা ছিলেন।
আরএসএস প্রধান বলেন, আমাদের প্রাচীন শিক্ষা থেকে সংগৃহীত জ্ঞান দিয়ে আমরা যতদিন না আপন শক্তিতে বলীয়ান হতে পারি ততদিন পর্যন্ত আমরা এই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারব না। প্রথা মেনে চাষ আবাদ করে, মাটির স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি না করে আমরা ১০,০০০ বছর কাটিয়েছি। কারণ আমাদের ধর্ম বলেছে শুধু মানুষের মঙ্গল কামনা করা নয়, আমাদের ধর্ম শিখিয়েছে পরিবেশেরও মঙ্গল করতে। কিন্তু আমরা যদি আজ অন্যদেশ থেকে ধার করা মডেল নিই সেটা আমাদের সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে। এটা চিরকালীন কিছু হবে না।
তিনি বলেন, যখন চিন হামলা চালিয়েছিল তখন আমার আমেরিকার কাছে সহায়তার জন্য গিয়েছিলাম। এনিয়ে হাসাহাসি করত আন্তর্জাতিক মিডিয়া। কিন্তু ২০১৪ সালের পর প্রয়োজনে আমরা পাকিস্তানে গিয়ে যোগ্য জবাব দিয়ে এসেছি।