ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মাঝে গত বছরই ইউক্রেনের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন রাশিয়ার পাইলট ম্যাক্সিম কুজমিনভ। জানা গিয়েছে, স্পেনে গত সপ্তাহেই একটি গ্যারাজের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নীতিবোধের প্রসঙ্গ তুলে মস্কো বক্তব্য রাখে। ‘মরাল কর্পস’ এর প্রসঙ্গ টেনে এই পাইলটের মৃত্যুকে ব্যাখ্যা করেছে পুতিনের দেশ।
রাশিয়া কী বলছে?
স্পেনের দক্ষিণে আলিকান্তে এলাকায় উদ্ধার হয়েছে রুশ পাইলট ম্যাক্সিম কুজমিনভের দেহ। গত বছর আগস্ট মাসে এমআই৮ হেলিকপ্টার নিয়ে ইউক্রেনের বুকে নামেন ওই রুশ পাইলট। কুজমিনভ যে শিবির বদল করেছেন, তা মস্কো স্বভাবতই ভালোভাবে নেয়নি। কুজমিনভের মৃত্যুর খবর আসতেই মস্কো কার্যত তাঁকে সমালোচনার শূলে বিদ্ধ করেছে। পুতিনের দেশ রাশিয়ার ‘ফরেন ইন্টালিজেন্স সার্ভিসেস’এর সার্জেই নারিশকিন বলেঠেন, ‘ এই বিশ্বাসঘাতক ও অপরাধী নৈতিক মৃতদেহে রূপান্তরিত হয়েছিল তখনই, যখন সে নোংরা ও ঘৃণ্য অপরাধের পরিকল্পনা করে।’ তিনি বলছেন, 'রাশিয়ায় একটা নিয়ম রয়েছে, হয় মৃতদের সম্পর্কে ভালো বলা হোক, নয়তো কিছু না বলা হোক।' ওই বার্তার মধ্য দিয়েই কার্যত রাশিয়া বুঝিয়ে দিয়েছে যে কুজমিনভকে নিয়ে মস্কোর অবস্থান।
রুশ বিশ্বাসঘাতকদের পর পর মৃত্যু?
এদিকে, পশ্চিমী বিশ্ব বলছে, ভিন দেশে যত রাশিয়ার বিরোধী বা বিশ্বাসঘাতক হিসাবে পরিচিত রয়েছেন, তাঁদেক কাউকেই বাঁচতে দেয়নি রাশিয়া। পশ্চিমী বিশ্বের দাবি যাই হোক, তাকে পাত্তা দিচ্ছে না মস্কো। রাশিয়া সাফ বলছে, এমন দাবির নেপথ্যে থাকা প্রমাণ পেশ করুক পশ্চিমী বিশ্ব।
গুলিচতে ঝাঁঝরা দেহ, স্পেনে কীভাবে থাকতেন রুশ পাইলট?
কুজমিনভের মৃত্যু হয়েছে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি। স্পেনের প্রশাসন বলছে, সেদিন গুলিতে ঝাঁঝরা হয়েছিলেন কুজমিনভ। তার জেরেই মৃত্যু। স্পেনের প্রশাসন কুজমিনভকে ইউক্রেনের নাগরিক বলেই চিহ্নিত করছে। অন্তত তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথি অনুযায়ী সেরকমই একটি বার্তা আসছে। কুজমিনভের মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্পেন। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে স্পেনেই থাকছিলেন কুজমিনভ। তিনি বিভিন্ন নাম পাল্টে পাল্টে চোরাগোপ্তা পথে সেদেশে থাকছিলেন। এরপরই মৃত্যু। স্পেনের প্রশাসন জানতে পেরেছে যে, বাইক নিয়ে দুই ব্যক্তি ঘটনার দিন সেখান থেকে পালায়। তবে তারা কে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুয়ংজতে আততায়ীদের খোঁজ করছে স্পেন।