সুপ্রিম কোর্টে নারদ মামলার শুনানির বেঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গতকালই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা আজ। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে শুনানি হবে মামলার। এদিকে মামলা সুপ্রিমকোর্টে গড়ানোয় হাইকোর্টে পিছিয়ে দেওয়া হল মামলার শুনানি। এদিকে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে আগামী শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
নারদ মামলায় রাজ্য সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে পার্টি করা হলেও কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা জমা নেওয়া হয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। আজ তিন পক্ষের আবেদনের একসঙ্গে শোনার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের। বেঞ্চে থাকার কথা ছিল বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর। কিন্ত শুনানি শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু।
ফলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। আবেদনটি আপাতত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার কাছে পাঠানো হবে। তারপর তিনি ঠিক করবেন কোন বেঞ্চে মামলাটি পাঠানো হবে।
এদিকে মামলা সুপ্রিমকোর্টে যাওয়া হাইকোর্টে এই মামলার পিছিয়ে দিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার সকাল ১১টায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মে নারদ মামলায় সিবিআই রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ,মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। কলকাতা হাইকোর্টে দুটি বিষয়ে নিয়ে আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। একটি হল চার হেভিওয়েট নেতার জামিন সংক্রান্ত। এবং অপরটি হল, নারদ মামলা এ রাজ্য থেকে সরিয়ে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়ে বিচার প্রক্রিয়া চালানো। বর্তমানে দ্বিতীয় আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি চলছে হাইকোর্টে।