নন পারফর্মিং অ্যাসেটের ভার কমাতে অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দিকে নজর দেয় ব্যাঙ্কগুলি। তবে মেহুল চোরসি, বিজয় মালিয়াদের মতো জালিয়াতরা পার পেয়ে যান। এবার তাই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে চুনোপুঁটি না ধরে রাঘব বোয়াল ধরার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, যাঁদের ঋণের পরিমাণ মাত্র কয়েক হাজার টাকা, তাঁদেরকে হেনস্থা না করে বড় কর্পোরেট হাউজগুলি থেকে ঋণ আদায়ের চেষ্টা করুন।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কানাড়া ব্যাঙ্ককে বলেন, 'নন পারফর্মিং অ্যাসেট উদ্ধার করতে হলে বড় মাছ ধরার দিকে নজর দিন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির সিংহভাগ নন পারফর্মিং অ্যাসেট কর্পোরেট ঋণগ্রাহকদের কাছে গচ্ছিত। ছোট পরিমাণের ঋণ নেওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অত নন পারফর্মিং অ্যাসেট পাবে না।'
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবর্ষে তিরুচিলাপল্লির এক সমাজসেবা সংগঠনের থেকে ৪৮.৮ লক্ষ টাকা ফের চেয়ে মামলা করে কানাড়া ব্যাঙ্ক। এই পরিমাণের ঋণ ১,৫৪০ জন ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছিল এই সংগঠনের মাধ্যমে। তবে ঋণ আদায় না করতে পেরে এখন সংগঠনের থেকে এই টাকা ফের চেয়ে মামলা করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তবে ঋণ অনাদায়ে সংগঠনের থেকে সেই পরিমাণ অর্থ আদায় করার বিষয়ে কোনও লিখিত চুক্তি নেই। তাই ব্যাঙ্কের আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত। উল্লেখ্য, ৯০ দিন পর্যন্ত যদি ঋণের অর্থ না মেটানো হয়, তাহলে সেই ঋণকে নন পারফর্মিং অ্যাসেট হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
শীর্ষ আদালত বলে, 'এই ঋণ ছোট চাষী, হাঁস -মুরগি, দুগ্ধ ব্যবসার সাথে জড়িতদের দেওয়া হয়েছিল। এই প্রান্তিক মানুষদের মধ্যে কেউ কেউ এই ফর্মে তাদের ছবির জন্য ১০ টাকা দিতে পারে না। এবং এই সংগঠন তো আপনাকে এই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করেছে। আপনি এখন কেন সংগঠনের থেকে টাকা চাইছেন?'