বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে সেবি যে কড়া হচ্ছে, তা আদতে কংগ্রেসের জন্য সম্ভব হয়েছে। এমনই দাবি করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তিনি দাবি করেন, আদানি গ্রুপ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর কংগ্রেস যে লাগাতার আক্রমণ চালিয়েছিল এবং জনমানসে তুমুল প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তার জেরেই সেবি কড়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা।
রমেশ দাবি করেন, আদানিকাণ্ডে সেবি এবং বিশেষজ্ঞ কমিটির খুব জটিল কোনও তদন্ত করতে হবে না। যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্ত হলেই ‘মোদানির মেগাস্ক্যাম’ (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আদানির দুর্নীতি) প্রকৃত রূপ উদঘাটিত হবে। মোদীর সঙ্গে আদানি গ্রুপের যোগসূত্র এবং মোদী কীভাবে আইন, নিয়ম-কানুন পালটে দেশে এবং বিদেশে আদানির ব্যবসার বহর বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন, তা বোঝা যাবে। আগামী ১৪ অগস্ট সেবির রিপোর্ট পেশ করার কথা আছে। সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। আদানির সংস্থাগুলিতে কীভাবে বিদেশ থেকে ২০,০০০ কোটি টাকা এসেছে, তা জানতে কংগ্রেস মুখিয়ে আছে বলে দাবি করেন রমেশ।
গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই রিপোর্টের জেরে শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপ জোরদার ধাক্কা খেয়েছিল। এখন অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে গৌতম আদানির মালিকাধীন আদানি গ্রুপ। যে গ্রুপের সঙ্গে ভারতীয় জীবন বিমা নিগম (এলআইসি), এসবিআইয়ের মতো সংস্থার আর্থিক লেনদেন ছিল। সেই পরিস্থিতিতে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে যে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছেন বিরোধী নেতারা।
যে সব সংস্থার সঙ্গে আদানি গ্রুপের আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেগুলির প্রতিটিই ভারতীয় আইন এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনেই হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্যও উপযুক্তভাবে প্রকাশ করেছে আদানি গ্রুপ। ‘এটা স্বার্থ সংঘাতের চরম উদাহরণ। সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে শুধমাত্র ভুয়ো বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে এই কাজটা করা হয়েছে, যাতে অসংখ্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হিন্ডেনবার্গ অবৈধভাবে বড়সড় আর্থিক লাভ করতে পারে। যে সংস্থা নিজেরাই শর্ট সেলার।’
যদিও আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছিল, যে সব সংস্থার সঙ্গে আদানি গ্রুপের আর্থিক লেনদেন হয়েছে, সেগুলির প্রতিটিই ভারতীয় আইন এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ম মেনেই হয়েছে। সেই সংক্রান্ত তথ্যও উপযুক্তভাবে প্রকাশ করেছে আদানি গ্রুপ। ‘এটা স্বার্থ সংঘাতের চরম উদাহরণ। সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে শুধমাত্র ভুয়ো বাজার তৈরির উদ্দেশ্যে এই কাজটা করা হয়েছে, যাতে অসংখ্য বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হিন্ডেনবার্গ অবৈধভাবে বড়সড় আর্থিক লাভ করতে পারে। যে সংস্থা নিজেরাই শর্ট সেলার।’