রাতে ঘুমোচ্ছিলেন স্বামী। সেইসময় তাঁর পুরুষাঙ্গ কেটে সটান থানায় চলে এলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনাটি বাংলাদেশ গাজিপুর শ্রীপুর উপজেলার। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত হাসপাতালে ভরতি আছেন ওই ব্যক্তি। বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়ায় একই হাসপাতালে অভিযুক্ত মহিলাকে ভরতি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weight Loss By Eating Paneer: ওজন কমাতে পনির খুবই উপকারি, ছিপছিপে পাতলা পেট পেতে কীভাবে এটি খাবেন জেনে নিন
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি আক্রান্ত ব্যক্তি মহম্মদ শরিফের দ্বিতীয় স্ত্রী। মাসআটেক আগে প্রথম স্ত্রী'র সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় শরিফের। তারপর হনুফা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। দু'জনে চেয়ারম্যানবাড়ি মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
শ্রীপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাতে টহলদারির সময় থানা থেকে ফোন আসে। এক আধিকারিক জানান যে এক মহিলা স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে থানায় চলে এসেছেন। স্বামীকে বাড়িতে বন্ধ করে রেখে দিয়ে এসেছেন। তারপরই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় শরিফকে। তাঁকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেই হাসপাতালেই ভরতি আছে শরিফের স্ত্রী হনুফা। বুকে ব্যথা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস ‘মৃত’ মহিলার, তাঁকেই ‘খুনে’র দায়ে হাজতে স্বামী!
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দাম্পত্য কলহের জেরেই সম্ভবত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন হনুফা। তারইমধ্যে শরিফের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম স্ত্রী'র সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে শরিফের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল। তাঁকে বাড়িতেও ঢুকতে দেওয়া হত না। এমনকী শরিফের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়েও পরিবার কিছু জানত না বলে দাবি করা হয়েছে।