বনধের পরিবর্তে বনধ ডেকেছিল বিজেপি। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়াল মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। শনিবার সকালে শহরের একাধিক দোকান লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পরবর্তীতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। তার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। সেই পরিস্থিতিতে অমরাবতীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় সম্প্রতি যে হিংসা ছড়িয়েছিল, তার প্রতিবাদে শুক্রবার অমরাবতীতে বনধ ডেকেছিল কয়েকটি মুসলিম সংগঠন। সেই বনধ ঘিরে শহরের কয়েকটি প্রান্তে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। একাধিক দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। ছোড়া হয়েছিল পাথর। যে ঘটনায় এমন একটি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, সেই সংগঠনের নাম ২০১২ সালে মুম্বইয়ে হিংসার সময়ও জডিয়েছিল।
তারইমধ্যে শুক্রবারের হিংসার নিন্দা করে শনিবার পালটা বনধ ডাকে বিজেপি। সেই বনধ ঘিরে শনিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সকালে পূর্ব মহারাষ্ট্রের শহরের রাজকমল চক এলাকায় জড়ো হন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকের হাতেই গেরুয়া পতাকা দেখা গিয়েছে। সঙ্গে ওঠে স্লোগান। সেই জমায়েত থেকে কয়েকজন দোকান লক্ষ্য করে পাথর ছোড়েন। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে পরপর দু'দিন হিংসা ছড়িয়ে পড়ায় অমরাবতীতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি অনিল বন্দে দাবি করেছেন, শুক্রবারের ঘটনার প্রতিবাদ করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ মিছিল ছিল। পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে লাঠি চালিয়েছে। তার জেরে কমপক্ষে ২০ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন।’ পুলিশ আধিকারিক শশীকান্ত সাতাব অবশ্য দাবি করেছেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়েছিল। উত্তেজনা আছে এলাকায়। তবে নিয়ন্ত্রণে আছে পরিস্থিতি।’
অন্যদিকে, অমরাবতীর মন্ত্রী জোশমতী ঠাকুর বলেছেন, ‘প্রত্যেকেরই প্রতিবাদের অধিকার আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে হিংসা মোটেও কাম্য নয়। মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানাচ্ছি। শহরে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে কয়েকজন দুষ্কৃতী।’ একইসুরে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রে জোট সরকারে অস্থিরতা তৈরি করতেই সেই হিংসা ছড়ানো হয়েছে।