জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চে ৪ জন জঙ্গিকে মঙ্গলবার নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। ভূস্বর্গের পুঞ্চে সোমবার বিকেল থেকে সুরানকোটের সিন্ধারা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এলাকায় পুলিশ ও সেনার যৌথবাহিনীর তৎপরতায় শুরু হয় জঙ্গি দমন ঘিরে অভিযান। সেই গুলির যুদ্ধ চলে জঙ্গিদের সঙ্গে। সেখানেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরে জানুয়ারি মাস থেকে রাজৌরি ও পুঞ্চে একাধিক জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তারপর থেকেই জঙ্গি নিধনে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সোমবার বিকেল থেকেই চলতে থাকে গুলির লড়াই। উল্লেখ্য, এই সিন্ধরা এলাকাটি পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। বহুকাল ধরে এই পথ দিয়েই পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। পাকিস্তান থেকে আসা যে জঙ্গিরা গুরসাই ও রজৌরিতে ঢুকতে চাইত, তারা এই পথ ধরেই ভারতে আসত। আর সেই এলাকায় কাশ্মীর পুলিশ ও ভারতীয় সেনার এই যৌথ অভিযান বেশ খানিকটা প্রাসঙ্গিক সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, রজৌরি ও পুঞ্চ এলাকায় এইটাই সবচেয়ে বড় অপারেশন বলে জানা গিয়েছে। এই এলাকায় যে জঙ্গি দমন অভিযান চলেছে, সেই ‘ অপারেশন ত্রিনেত্র ২’ ঘিরে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। 'হোয়াইট কিং কর্পস' বলছে, এলাকাকে ব্যাপকভাবে ঘিরে ফেলে চলে অপারেশন। সূত্র মারফৎ আগেই ভারতীয় সেনার কাছে ছিল এলাকায় জঙ্গি থাকার তথ্য। সেই সূত্রের খবর অনুযায়ী, পদক্ষেপ নিয়ে ভারতীয় সেনা সাফল্য পেতে থাকে। জানা গিয়েছে, ৪ জঙ্গি নিকেশের পর একে ৪৭, উদ্ধার হয়েছে পিস্তল। হোয়াইট নাইটস কর্পসের তরফে বলা হয়েছে, ‘এই জঙ্গিদের নিকেশ রজৌরি ও পুঞ্চ এলাকায় বড়সড় জঙ্গি নাশকতার আশঙ্কা দবর করেছে।’ জানা গিয়েছে, এই গুলির লড়াই সিন্ধারা ও ময়দানা গ্রামে ঘটেছে।
( Modi in UAE: খেজুরের সালাড, গাজরের তন্দুরি! আমিরশাহির প্রাসাদে সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজসভা মোদীর সম্মানে)
এর আগে, সোমবার নিরাপত্তা বাহিনী দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে। তারফলে বড়সড় অনুপ্রবেশের ছক বানচাল হয়। বলা হচ্ছে, তারা যুদ্ধ প্রস্তুতির মতো করে অস্ত্রসস্ত্র মজুত করছিল। সেখান থেকেও উদ্ধার হয়েছে একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল সমেত বহু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।