এবার কোভিশিল্ডকে আইনি রক্ষাকবচ প্রদানের দাবি তুলল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। তবে শুধু সেরাম নয়, অন্যান্য ভারতীয় টিকা সংস্থাকেও আইনি রক্ষাকবচ প্রদানের পক্ষে সওয়াল করেছেন ওই সূত্র।
বুধবারই একটি মহল থেকে দাবি করা হয়, দেশে করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের জোগান সুগম রাখার জন্য বিদেশি টিকা সংস্থাকে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হতে পারে। সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, যদি জরুরি ভিত্তিতে ভারতে টিকা ব্যবহারের জন্য ফাইজার এবং মর্ডানা আবেদন করে, তাহলে দুই সংস্থাকে আইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, ফাইজার এবং মর্ডানার মতো সংস্থা অন্যান্য দেশে যেরকম আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছে, সেই ধাঁচেই দুই সংস্থার টিকাকে ভারতেও সুরক্ষাকবচ দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। তা মঞ্জুরও হতে যাবে বলে আশাবাদী ওই সূত্র। ফাইজার নাকি ইতিমধ্যে জানিয়েছে, আইনি ঝঞ্জাটে পড়তে না হবে বলে আশ্বাস দিলে তবেই ভারতে টিকা পাঠানো হবে।
তারপরই সূত্র উদ্ধৃত করে এএনআই জানিয়েছে, আইনি রক্ষাকবচ প্রদানের আর্জি জানিয়েছে। যে রক্ষাকবচ প্রদান করা হলে আইনি ঝঞ্জাট থেকে মুক্ত হবে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। ওই সূত্র বলেছেন, ‘শুধু সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া নয়, যদি বিদেশি সংস্থাগুলিকে আইনি রক্ষাকবচ প্রদান করা হয়, তাহলে সব (ভারতীয়) টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থারও সেই সুযোগ পাওয়া উচিত।’
যদিও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রাক্তন প্রধান নির্মল গঙ্গোপাধ্যায় এএনআইকে জানিয়েছেন, ভারতের টিকাকরণের ইতিহাসে কখনও কোনও সংস্থাকে আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়নি। কখনও সরকারও সেই কাজ করেনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, টিকাকরণের ক্ষেত্রে একজনের যদি লাখ-লাখ মানুষের মধ্যে একজনের গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে সমাজের স্বার্থে টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।