আগামী রবিবার থেকে দুরন্ত, শতাব্দী এবং রাজধানী এক্সপ্রেস বাতিল করে দিল উত্তর রেলওয়ে। ঊর্ধ্বমুখী করোনাভাইরাস সংক্রমণের জেরে যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেই পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
উত্তর রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দুটি আপ-ডাউন শতাব্দী এক্সপ্রেস, দুটি আপ-ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস, দুটি আপ-ডাউন দুরন্ত এক্সপ্রস এবং একটি আপ-ডাউন বন্দেভারত এক্সপ্রেস-সহ ২৮ টির মতো ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের মধ্যে আছে দিল্লি থেকে কালকা, হাবিবগঞ্জ, অমৃতসর, চণ্ডীগড়গামী শতাব্দী; দিল্লি থেকে চেন্নাই, বিলাসপুরগামী রাজধানী এক্সপ্রেস এবং জম্মু-তাওয়াই ও পুণেগামী দুরন্ত এক্সপ্রেস বন্ধ করেছে রেল। উত্তর রেলের মুখপাত্র বলেন, 'যাত্রীর সংখ্যা কম এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কয়েকটি স্পেশাল ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর রেল।'
এমনিতেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলার মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে কীভাবে টিকার উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের থেরে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে আধিকারিকদের মোদী নির্দেশ দেন যে ‘লকডাউন সত্ত্বেও নাগরিকদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া জারি রাখতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের কোনওভাবেই অন্য কাজে দেওয়া যাবে না।’ বিভিন্ন রাজ্যে কত টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে, তাও মোদীকে জানানো হয়। একইসঙ্গে আধিকারিকরা বলেন, ‘রাজ্যগুলিতে ১৭.৭ কোটি করোনা টিকা পাঠানো হয়েছে। ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষকে কমপক্ষে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ’
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার কার্যকারীভাবে সেই আগাম বিপদের মোকাবিলার জন্য আজ থেকেই কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই শিশুদের টিকাকরণ শেষের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টের জারি করা শোকজ নোটিশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের দায়ের করা মামলায় বুধবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এমআর শাহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি এখন থেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়, তাহলে হয়তো তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলা করা যাবে। আর সেটার জন্য বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকাকরণ করতে হবে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে (করোনার) তৃতীয় ঢেউ সামনেই আসছে। যা শিশুদের উপর প্রভাব ফেলবে। একটি শিশু যখন হাসপাতালে যাবে, তখন তার মা এবং বাবাকেও যেতে হবে। তাই এই শ্রেণিরও টিকাকরণ করতে হবে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাদের টিকাকরণের জন্য পরিকল্পনার প্রয়োজন আছে এবং সেরকমভাবে প্রস্তুতি সারতে হবে।’