প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শারদ যাদব। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। এই নিয়ে টুইটারে বাবার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন মেয়ে সুভাষিণী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্ষীয়ান এই নেতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। টুইটারে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী– সহ একাধিক নেতা–নেত্রীরা।
ঠিক কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী? এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে তিনি শোকজ্ঞাপন করেন। আর টুইটারে লিখেছেন, ‘লিখেছেন, ‘শারদ যাদবের মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ওঁর সঙ্গে হওয়া আলাপ–আলোচনা কখনও ভুলতে পারব না। তিনি নিজেকে একজন সাংসদ এবং মন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর পরিবার এবং ভক্তদের প্রতি রইল সমবেদনা। ওঁ শান্তি।’
ঠিক কী লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? এই ঘটনার কথা শুনে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘শারদ যাদবের প্রয়াণের খবরে আমার মন ভারাক্রান্ত। উনি শুধু একজন বলিষ্ঠ রাজনীতিবিদ নন, শ্রদ্ধেয় সহকর্মীও ছিলেন। তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওঁর পরিবার–পরিজনদের সমবেদনা জানাই। একজন দৃঢ়চেতা রাজনীতিবিদ। তিনি এবং তাঁর কাজ সকলের মধ্যে বেঁচে থাকবে।’
আর কংগ্রেস সাংসদ কী লিখলেন? এই মৃত্যুর খবরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইট করে লেখেন, রাহুল গান্ধী লিখেছেন, ‘শারদ যাদব একজন সমাজবাদী হওয়ার পাশাপাশি নম্র স্বভাবের ব্যক্তি ছিলেন। আমি ওঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ওঁর শোকার্ত আত্মীয়দের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। দেশের প্রতি তাঁর অবদান চিরকাল মনে রাখা হবে।’
উল্লেখ্য, জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন আন্দোলন থেকে উঠে আসা সাতের দশকের একঝাঁক সমাজবাদী রাজনীতিকের অন্যতম প্রতিনিধি শারদ যাদব। রামমনোহর লোহিয়ার আদর্শে দীক্ষিত। ‘ইন্দিরা হটাও’ আন্দোলনে লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, জর্জ ফার্নান্ডেজদের পাশাপাশি সক্রিয় মুখও ছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে জনতা পার্টির ‘হলধর কিষান’ প্রতীকে জয়ী হওয়া প্রথম সাংসদ (জব্বলপুর কেন্দ্র)। ১৯৯৭ সালে জনতা দল ভেঙে তৈরি করেন জেডিইউ। ২০১৬ পর্যন্ত তার সভাপতি ছিলেন। পরে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে পার্টি ও সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। সংসদীয় ক্ষেত্রে তাঁকে বলা হত, রাজনীতির বিবেক। সাতবারের লোকসভা সাংসদ শারদ ছিলেন এনডিএ’র আহ্বায়ক, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। সবথেকে চমকপ্রদ হল, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার—তিন রাজ্যে সমানভাবে রাজনৈতিক সাফল্য পেয়েছিলেন সেই ছাত্রাবস্থা থেকে। পরে বিহারে সোস্যালিস্ট নেতা হিসেবে পরিচিতি পান।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup