সোমালিয়া উপকূলের কাছে একটি জাহাজ হাইজ্যাক করে নেওয়া হল। যে জাহাজে ১৫ জন ভারতীয় আছেন। আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এমনই জানানো হল সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে সোমলিয়া উপকূলের কাছে ‘এমভি লিলা নোরফক’ নামে লিবিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ হাইজ্যাক করে নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর পাওয়ায়। তাতে ১৫ জন ভারতীয় আছেন। ওই জাহাজের উপর কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান। ইতিমধ্যে জাহাজের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই জাহাজের দিকে রওনা দিয়েছে ভারতীয় নৌসেনার রণতরী আইএনএস চেন্নাই।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস এবং ব্রিটিশ সামুদ্রিক সুরক্ষা সংক্রান্ত সংস্থা অ্যামব্রের তরফে জানানো হয়েছে, বাহারিনের খলিফা বিন সলমনের দিকে যাচ্ছিল ওই বাণিজ্যিক ভেসেলটি। তারইমধ্যে সোমালিয়ার এলের ৪৫৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে হাইজ্যাকের ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন সশস্ত্র লোক বাণিজ্যিক জাহাজে উঠে পড়েছে। সেই সংখ্যাটা পাঁচ থেকে ছয় হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে খবর মিলেছে। তবে ওই ভেসেলে কতজন ছিলেন, এখন তাঁদের কী অবস্থা, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে কী বলা হয়েছে?
শুক্রবার ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, আরব সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকা লাগানো এক জাহাজাকে হাইজ্যাকের চেষ্টার ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই জাহাজের তরফে ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনসের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। জানানো হয় যে জাহাজে পাঁচ থেকে ছয়জন সশস্ত্র লোক উঠে পড়েছে।
সেই খবর পেয়েই দ্রুত পদক্ষেপ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। একটি বিবৃতিতে নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সামুদ্রিক সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্মে নিযুক্ত আইএনএস চেন্নাইকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ওই জাহাজকে সাহায্য করতে পারে। শুক্রবার ভোরের দিকে ওই জাহাজের উপর দিয়ে উড়ে যায় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি বিমান। জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়। কর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
ওই জাহাজের গতিবিধির উপর নজর রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান। দ্রুত জাহাজের দিকে অগ্রসর হচ্ছে আইএনএস চেন্নাই। ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সহযোগী এবং বন্ধু বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই এলাকায় বাণিজ্যিক জাহাজ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় নৌবাহিনী।’