Currency Rule RBI: হিজি-বিজি লেখা নোট কি অচল? জানুন RBI-এর নিয়ম

হাবিজাবি লেখা নোট বাজারে চলবে তো? আসলে অনেক সময়েই দোকানদাররা এমন নোট নিতে চান না। আবার দোকানদাররা নিলেও কোনও ক্রেতাকে তা দিলে তাঁরা সেটি নিতে অস্বীকার করেন। গোটা বিষয়টি নিয়েই বিভ্রান্তি রয়েছে। সেটিই দূর করল কেন্দ্র।

ফাইল ছবি: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা (HT Bangla)

অনেক সময়েই আমাদের কাছে এমন নগদ টাকা আসে, যাতে পেন দিয়ে হিজিবিজি লেখা থাকে। কখনও দেখা যায় ১০ টাকার নোটে ব্যর্থ প্রেমের হাহাকার লিখেছেন কোনও প্রেমিক। আবার কখনও দেখা যায়, ধর্মীয় স্লোগান দিতে ৫০০ টাকার নোটকেই 'উত্সর্গ' করে দিয়েছেন কোনও ধার্মিক। এমন নোট হাতে এলে বেজায় চিন্তায় পড়ে যান অনেকেই।

এমন হাবিজাবি লেখা নোট বাজারে চলবে তো? আসলে অনেক সময়েই দোকানদাররা এমন নোট নিতে চান না। আবার দোকানদাররা নিলেও কোনও ক্রেতাকে তা দিলে তাঁরা সেটি নিতে অস্বীকার করেন। গোটা বিষয়টি নিয়েই বিভ্রান্তি রয়েছে। সেটিই দূর করল কেন্দ্র।

কেন্দ্রের তথ্য প্রদানকারী মাধ্যম, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এই বিষয়ে একটি বার্তা প্রকাশ করেছে। তাতে কী বলা হয়েছে?

'না, নোটে হিজিবিজি লেখা থাকলে সেটি অবৈধ হয়ে যায় না। আইনি দরপত্র হিসাবে সেটি তখনও ব্যবহারযোগ্য। ক্লিন নোট নীতির অধীনে যদিও জনসাধারণকে টাকার নোটে না লিখতেই অনুরোধ করা হচ্ছে, কারণ এতে নোটের আয়ু হ্রাস পায়,' PIB-র ফ্যাক্ট চেক হ্যান্ডেলের টুইটারে এমনটাই জানানো হয়েছে।

আসলে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভুয়ো মেসেজ ঘুরছিল। না জেনেই সেটি ফরোয়ার্ড করে দিচ্ছিলেন অনেকে। তাতে লেখা ছিল, RBI জানিয়েছে টাকার উপর কিছু লেখা হলে সেটি অবৈধ হয়ে যায়। বলাই বাহুল্য কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে এমন কোনও নীতিই জারি করেনি। এটি ভুয়ো তথ্য। তবে অনেকেই এই তথ্য যাচাই না করে অন্ধের মতো ফরোয়ার্ড করে দিচ্ছেন।

ছবি: টুইটার

(Twitter)

জেনে রাখুন: ক্লিন নোট নীতি কি?

১৯৯৯ সালের কথা। সেই বছরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এক নয়া নীতির ঘোষণা করে। এর অধীনে কাগজী নোট এবং মুদ্রার সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি জনগণের এই বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করা হয়। কারেন্সি নোটে কিছু না লেখার জন্য অনুরোধ জানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। একইসঙ্গে ব্যাঙ্কের শাখায় ময়লা-বিকৃত নোট এক্সচেঞ্জ করার সুবিধা প্রদান করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ অনুসারে, ব্যাঙ্কের কারেন্সি চেস্ট শাখায় নোংরা এবং বিকৃত নোটের বিনিময়ে ভাল মানের নোট এবং কয়েন দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে সেই ব্যাঙ্কের গ্রাহকও হতে হবে না। ব্যাঙ্কে ঢুকে নোট ধরালেই তাঁরা তা বদলে দেবেন(তাই বলে অতি ব্যস্ত সময়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের উপর হামলে পড়বেন না!)। RBI-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই এই নিয়মের কথা উল্লেখ করা রয়েছে।

তাই নোটের উপর অল্প-আধটু লেখা থাকলে তা দিতে বা নিতে সেভাবে কোনও সমস্যা নেই। আর একান্তই যদি লেখালিখি করতে হয়, তাহলে নোটের বদলে হোয়াটসঅ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন। কেন? কারণ(ক্লিক করুন): Message yourself: নিজেকেই মেসেজ করার ফিচার আনল WhatsApp!