সিয়াচেনকে ‘বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী’ বলে অভিহিত করলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর পাশাপাশি সিয়াচেনকে ভারতের ‘সার্বভৌমত্ব এবং দৃঢ়তার প্রতীক’ বলেও উল্লেখ করেছেন। সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দেশের সামগ্রিক সামরিক প্রস্তুতির মূল্যায়ন করতে বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত সিয়াচেন বেস ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় সিএএ লাগু করা কেউ আটকাতে পারবে না, মালদায় জানালেন রাজনাথ
এদিন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এলাকার সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।এছাড়াও সেখানে অবস্থানরত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সাহসীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে রাজনাথ সিং বলেন, ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেন হিমবাহে আপনারা যেভাবে দেশকে রক্ষা করেছেন তার জন্য আমি আমাদের অভিনন্দন জানাই। সিয়াচেনের ভূমি কোনও সাধারণ ভূমি নয়। এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও দৃঢ়তার প্রতীক। এটা আমাদের জাতীয় সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব করে।’
এরপরেই রাজনাথ দেশের রাজধানীর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘আমাদের জাতীয় রাজধানী যেমন দিল্লি, মুম্বই যেমন আমাদের অর্থনৈতিক রাজধানী, প্রযুক্তিগত রাজধানী হিসেবে যেমন বেঙ্গালুরু পরিচিত তেমনি বীরত্ব ও সাহসের রাজধানী হল সিয়াচেন।’
পরে এদিন সিয়াচেন সফরের একাধিক ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন রাজনাথ। তাতে তিনি লেখেন, ‘সিয়াচেনে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সাহসিকতা এবং লোহার মতো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি সবসময় দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।’
একটি জাতীয় সংবাদ সংস্থার শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাজনাথ সেনা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিচ্ছেন। অন্য একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, তিনি প্রতিটি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতা করছেন।
উল্লেখ্য, কারাকোরামের প্রায় ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সর্বোচ্চ সামরিক অঞ্চল হিসাবে পরিচিত। এখানে কঠিন প্রকৃতির প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয় জওয়ানদের। তার মধ্যেও দেশকে শত্রুদের হাত রক্ষা করে চলেছেন জওয়ানরা। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এই অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘অপারেশন মেঘদূত’-এর অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাসে সিয়াচেন হিমবাহের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়। গত ১৪ এপ্রিল সেই উপলক্ষ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী সিয়াচেনে উপস্থিতির ৪০ তম বছর উদযাপন করেছে।