মহিলা সাফাইকর্মীকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। তখনই দুষ্কৃতীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওই চিকিৎসকের উপর। সিকিমের সেই সাহসী চিকিৎসক শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে। সূত্রের খবর ৪৫ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক ডঃ সঞ্জয় উপরেতি গ্যাংটকের একটি সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গত ১৪ ডিসেম্বর আচমকাই লাঞ্চ টাইমে দুষ্কৃতীরা কলা ছেত্রী নামে এক মহিলা সাফাইকর্মীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এই দৃশ্য দেখে তাঁকে বাঁচাতে যান ওই চিকিৎসক। আর তখনই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই দুষ্কৃতী। তাঁকে একের পর এক ছুরি মারতে থাকে। হাসপাতালেরই এক নার্স জানিয়েছেন একথা।
এরপর সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাংয়ের উদ্যোগে জখম চিকিৎসককে শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু তাঁর অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে যায় তাঁর। তাঁর বা পা কেটে বাদও দিতে হয়। ক্রমে অবস্থার অবনতি হতে থাকে চিকিৎসকের। শুক্রবার ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস তামাং জানিয়েছেন, এই ধরনের হত্যার ঘটনা নিন্দাজনক। হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সিকিমের ডিআইজি বিকে তামাং জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রথমে কলা ছেত্রীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এরপর কার্ডিওলজি বিভাগের ওই চিকিৎসকের উপর হামলা চালায়। এদিকে ওই মহিলা সাফাই কর্মীর শারীরিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্থিতিশীল। মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব জ্যাকব খালিং রাই বলেন, আমরা এক সাহসী ভূমিপুত্রকে হারালাম।