লকডাউনের মধ্যে বাড়ির থেকে বেরিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক ও পথকুকুরদের খাবার দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হলেন মুম্বইয়ের সৈকত সাফাই অভিযানের পুরোধা আইনজীবী আফরোজ আলম।
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী লকডাউন আরোপ করা হলেও বিধি ভেঙে বিপন্ন ভিনরাজ্যের শ্রমিক ও রাস্তার কুকুর-বিড়ালদের খাবার দিতে চেম্বুরের রাস্তায় নিয়মিত ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে আফরোজকে। মঙ্গলবার এমনই এক অভিযানে বেরিয়ে পুলিশের খপ্পরে পড়েন তিনি। অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে বেশ কিছু ক্ষণ আটকে রেখে হেনস্থা করে।
গতকাল রাতে ক্ষুব্ধ আফরোজ টুইটারে মুম্বই পুলিশ কমিশনার ও মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘মুম্বইয়ে তাঁদের ঠিকানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পৌঁছে দিতে গিয়ে আটক হলাম। ২ ঘণ্টা ধরে তিলক নগর থানার পুলিশের হাতে হেনস্থা হলাম। থানায় নিয়ে গিয়ে বলা হল, দয়া করে এলাকা থেকে বিদায় নিন। গরিবস্য গরিবদের সাহায্য করার সব চেষ্টা বন্ধ করতে হল। দুঃখিত পরিযায়ীরা, আপনাদের জন্য কাজ করতে দিতে চায় না এই সমাজ ব্যবস্থা। ভগ্ন হৃদয়, ভগ্ন আত্মা। আমি এখন শুধু মানসিক যন্ত্রণায় কাঁদছি।’
মুম্বইয়ের ভারসোভা সৈকতকে দূষণমুক্ত করায় প্রধান ভূমিকা নেওয়ার পরে খবরের শিরোনামে স্থান পান সমাজকর্মী আফরোজ আলম।
লকডাউনে বিপন্ন জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে চলা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে তৈরি খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, ফলের রস ও বিস্কুট দিয়ে নিয়মিত সাহায্য করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভূত প্রশংসা পেয়েছেন আফরোজ আলম। কিন্তু এ দিনের ঘটনার পরে তাঁর সেই উদ্যোগ বন্ধ রাখতে হয়েছে। শাহের হেনস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার শশীকুমার মিনা।