বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল গোয়া পুলিশ। এই নিয়ে এই ঘটনায় মোট গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। এদিকে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-কে দেওয়া হবে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানান, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। খট্টরের সঙ্গে ফোগাটের পরিবার দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাই খট্টরও নাকি সাওয়ান্তের কাছে আবেদন করেছেন যাতে সিবিআই-কে দিয়ে এই মৃত্যুর তদন্ত করানো হয়।
এদিকে রবিবার গোয়া পুলিশ এক জন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন এবং মাদক রাখার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোনালি জোর করে মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহে প্রকাশ্যে এসেছে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, জোর করে সোনালিকে পানীয় খাওয়ানো হচ্ছে। তাতেই মাদক মেশানো ছিল বলে অনুমান পুলিশের। রবিবার যে মাদর পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই সোনালির সহকারীকে মাদক বিক্রি করেছিল বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যে রেস্তরাঁতে সোনালি পার্টি করছিলেন তার মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ এবং এক মাদক পাচারকারী দত্তপ্রসাদ গাঁওকরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই পঞ্চম ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশ। এর আগে সোনালির দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নেত্রী সোনালি ফোগাটের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। তবে পরিবারের তরফে এই মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করার পরই তদন্তে নামে গোয়া পুলিশ। বিবৃতি দেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত স্বয়ং। এরপই একে একে বিস্ফোরক সব তথ্য প্রকাশ্যে আসতে থাকে। জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাতে অঞ্জুনা সৈকতের কার্লি রেস্তরাঁ ও নাইটক্লাবে পার্টি করছিলেন তাঁর সহযোগীদের সঙ্গে। সেখানেই তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় দেওয়া হয়। এই ঘটনায় সোনালির সহকারী সুধীর সাঙ্গওয়ান এবংক তার বন্ধু সুখবিন্দরকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশি জেরায় দুই অভিযুক্তই স্বীকার করে নিয়েছে যে, সোনালির পানীয়তে ১.৫ গ্রাম এমডিএমএ নামক একধরনের মাদক মিশিয়ে দিয়েছিল তারা। তবে ঠিক কী কারণে বছর ৪৩-র ওই বিজেপি নেত্রীকে খুন করা হল, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।