সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারওয়েকারকে বিধায়কপদ খারিজ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁর কী করা দরকার সেটাও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ শিবসেনার বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী ও এনসিপির শারদ পাওয়ার গ্রুপ ৮০জন বিধায়ককে পদ থেকে খারিজ করার আবেদন করেছিল। কিন্তু এনিয়ে স্পিকার কোনও পদক্ষেপ নেননি বলে দাবি করা হচ্ছে। এবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, প্রয়োজনে আদালতই এই সূচি ঘোষণা করবে, তিনি যদি এটা করতে ব্যর্থ হন।
এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছিলেন তিনি স্পিকারের সঙ্গে বসতে চান। ৩০ অক্টোবরের মধ্য়ে তিনি যাতে এব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তা নিয়ে কথা বলবেন। তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এনিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন। স্পিকার নিজেকে বিচারসভা ভেবে ফেলেছেন তা নিয়েই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিদের বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, স্পিকারকে পিটিশনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। আমরা সরকারের সমান একটা শাখা। সুপ্রিম কোর্ট তার নিজের জায়গায় সুপ্রিম। কিন্তু তিনি নিজের কাজ না করে সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফ্লোরে কী হচ্ছে সেটা আমরা জানি না। সেখানে হাউস সুপ্রিম। কিন্তু এই বিধায়কপদ খারিজ করার প্রসঙ্গে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের গণ্ডির মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে।
এদিকে মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল। তারপর স্পিকার কী করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন করেন স্পিকার। সলিসিটর জেনারেল এক্ষেত্রে জানান যদি সুপ্রিম কোর্ট চায় তবে স্পিকার রোজ কী কী কাজ করা হয়েছে সেগুলি জানিয়ে দেবে। তবে এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী ও এনসিপির শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর হয়ে আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বল। গত বছরের জুলাই মাস থেকে শিবসেনার ওই বিধায়কদের পদ খারিজ করা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এনসিপির পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বিধায়ক অজিত পাওয়ারের পদ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে আবেদন করা হয়েছিল। তারপরেও কিছু করা হয়নি।